Kunal-Firhad: ‘জানি মন্ত্রী নই, মনে করাতে হবে না’, পার্থ-বিতর্কে ফিরহাদকেও বিঁধলেন কুণাল
Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষ বললেন, "আমি মন্ত্রী নই, তা মনে করাতে হবে না।" সরাসরি কারও নাম না নিলেও, কুণালের আক্রমণ যে ফিরহাদ হাকিমের দিকেই ছিল, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কুণালের সাফ কথা, তিনি কখনোই মন্ত্রী হতে চাননি।
কলকাতা : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ইস্যুতে শাসক দলের অন্দরেই বল ঠেলাঠেলির পালা চলছে। কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু বল ঠেলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোর্টে। আবার তৃণমূল মহাসচিবের হয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। সেই সময় ফিরহাদ হাকিম কুণালের বক্তব্যের প্রক্ষিতে বলেছিলেন, “কুণাল ক্যাবিনেটের সদস্য নয়। আমি পার্থদার সঙ্গে ক্যাবিনেটের সদস্য। তাই আমি মনে করি না, যেটা বলা হচ্ছে সেটা ঠিক।” শনিবার দুপুরে পার্থবাবুর নাকতলার বাড়িতেও গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তখন অনেকেই মনে করেছিলেন, হয়ত এই বল ঠেলাঠেলির পালা এবার শেষ হল। কিন্তু রবিবার ফের বাক্যবাণ শানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। বললেন, “আমি মন্ত্রী নই, তা মনে করাতে হবে না।” সরাসরি কারও নাম না নিলেও, কুণালের আক্রমণ যে ফিরহাদ হাকিমের দিকেই ছিল, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কুণালের সাফ কথা, তিনি কখনোই মন্ত্রী হতে চাননি।
রবিবার কুণাল ঘোষ বলেন, “আমি দলের একজন সৈনিক। কিন্তু আমি মন্ত্রী নই। আমি সরকারের কেউ নই। আমি জানি। আমাকে মনে করিয়ে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে যেদিন আমি অধিকারী পরিবারকে আক্রমণ করছি, মঞ্চে বসে আমি কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব পেয়েছি। তারপরও আমি ধারাবাহিকভাবে আমার লড়াই সামলে গিয়েছি। আমি বক্ত্ৃতা চালিয়ে গিয়েছি। আমাকে যেন কেউ মনে করিয়ে না দেন যে আমি মন্ত্রী নই। আমার কোনও হ্যাংলামো নেই। মন্ত্রী না হতে পারলে যাদের জীবন অসম্পূর্ণ, এ সব ক্রাইটেরিয়া তাঁদের। আমি মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদের ঊর্ধ্বে আছি। কুণাল ঘোষ হাসি মুখে মন্ত্রী নয়। মন্ত্রীত্ব কখনও চাইনি। যদি আমাকে ঘিরে কখনও কোনও বিতর্ক হয়, আমি তার উত্তর দেব।”
শুধুমাত্র ফিরহাদ হাকিম নন, নিজের বক্তব্যের শেষে গিয়ে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও নাম না করে একহাত নিয়েছেন কুণাল ঘোষ। একদিকে রাজ্য রাজনীতিতে যখন আনিস কাণ্ড, রামপুরহাট কাণ্ডের জেরে চাপ তৈরি হচ্ছে শাসক দলের উপর, তখন দলের অন্দরেও একাধিক ইস্যুতে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য জেরে বাতাবরণ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সম্প্রতি, কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যাবতীয় উত্তর দিতে পারবেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কুণালের এই মন্তব্যের পরই বিতর্কের সূত্রপাত। কিন্তু গতকাল কুণাল ঘোষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার পর অনেকেই অনুমান করছিলেন এবার হয়ত বিতর্কের অবসান হতে চলেছে। কিন্তু এবার নিজের ফেসুবক হ্যান্ডেল থেকে নাম না করে ফিরহাদ ও পার্থকে আক্রমণ শানালেন কুণাল।