Kunal Ghosh: ‘ত্রাণ দিতে নয়, ছবি তুলতে গিয়েছিলেন’, নাগরাকাটায় আক্রান্ত খগেন মুর্মু, জনরোষের তত্ত্ব খাড়া কুণালের
Kunal Ghosh On Khagen Murmu: "আমরা এই ঘটনার নিন্দা করেছি। আমরা বলেছি, মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কখনও এটা হতে পারে না। কিন্তু ক্ষোভটা কেন, সেটাও তো বুঝতে হবে, গরিব মানুষকে কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি। সেখানে তাঁরা গিয়েছেন ত্রাণ সামগ্রী ছাড়া। ছবি তুলতে গিয়েছিলেন, ফটোশুট করতে গিয়েছিলেন। মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।"

কলকাতা: নাগরাকাটায় বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আর এই ঘটনায় জনরোষের তত্ত্ব খাড়া করতে মরিয়া তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের বঞ্চনার কারণেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বকেয়া দেওয়া, প্রাপ্য দেওয়া, দুর্গতদের সাহায্য় করা, এগুলো ওদের কাছে অগ্রাধিকার নয়। ওরা শকুনের রাজনীতি খুঁজতে বের হয়েছেন। বিজেপির এমপি, এমএলএ-কে কেন্দ্র করে।”
বিজেপি সাংসদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা বলেও কুণাল যে তত্ত্ব তুলে ধরেছেন, তা হল জনরোষ, আর সেটা স্বাভাবিক বলেই দাবি করেছেন তিনি। কুণালের কথায়, “আমরা এই ঘটনার নিন্দা করেছি। আমরা বলেছি, মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কখনও এটা হতে পারে না। কিন্তু ক্ষোভটা কেন, সেটাও তো বুঝতে হবে, গরিব মানুষকে কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি। সেখানে তাঁরা গিয়েছেন ত্রাণ সামগ্রী ছাড়া। ছবি তুলতে গিয়েছিলেন, ফটোশুট করতে গিয়েছিলেন। মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।”
যদিও কুণাল জনরোষের তত্ত্ব তুলে ধরতেই পাল্টা বিঁধেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যখন বর্ধমানে মঙ্গলকোটে মাঠে আলের মধ্যে চটি খুলে, ধুতি তুলে দৌড়তে হয়েছিল সিপিএমের হামলার মুখে পড়ে, তখন নিশ্চয়ই সেটা জনরোষ ছিল। বাবলা সরকারকে বেঘোরে প্রাণ দিতে হল, সেটাও হয়তো জনরোষ। আসলে এখানে জঙ্গলরাজ চলছে, আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। খগেন মুর্মুর ওপর হামলা আদিবাসী সমাজের অপমান। আসলে তৃণমূল ভাবছে, ওখানে আমরা করতে পারছি না, বিজেপিকে করতে দেব না।”
প্রসঙ্গত, সোমবার নাগরাকাটায় দুর্গত এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বামনডাঙায় ঢোকার আগে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। অতর্কিতে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে লাঠি, জুতো নিয়ে চড়াও হন অনেকে। গাড়ির পিছনের সিট থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন খগেন মুর্মু। তখনই অতর্কিতে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইট এসে লাগে তাঁর চোখের নীচে। আপাতত শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খগেন। তাঁকে দিল্লি হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা ভাবছে পরিবার।
