Lalon Sekh: লালন শেখ হত্যা মামলায় চার সিবিআই কর্তাকে সাসপেন্ড

Lalon Sekh: ভাদু শেখ হত্যা মামলায় দুই তদন্তকারী আধিকারিক ও বগটুই হত্যাকাণ্ডের দুই তদন্তকারী আধিকারিক নিয়ে মোট চার জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

Lalon Sekh: লালন শেখ হত্যা মামলায় চার সিবিআই কর্তাকে সাসপেন্ড
লালন মৃত্যু রহস্যে চার সিবিআই কর্তাকে সাসপেন্ড
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2023 | 12:33 PM

কলকাতা:  বগটুই কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআইএর অস্থায়ী ক্যাম্পে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় সাসপেন্ড করা হয়েছে চার সিবিআই কর্তাকে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছে সিবিআই। সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই তদন্তকারী অফিসার ও দুই কনস্টেবলকে। চার জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সাসপেন্ড হওয়া কর্তারা হলেন আইও বিলাস মেহাদ গাট, ভাস্কর, রাহুল। ভাদু শেখ হত্যা মামলায় দুই তদন্তকারী আধিকারিক ও বগটুই হত্যাকাণ্ডের দুই তদন্তকারী আধিকারিক নিয়ে মোট চার জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে ২৩ ডিসেম্বর জানানো হয়েছিল, লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দিন রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে যাঁরা যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এটা একদমই স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিওরের মধ্যেই পড়ে।

সিবিআই সূত্রে খবর, হেফাজতে যদি কোনও বন্দি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, সেসময় যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, তাঁদের প্রত্যেককেই সাসপেন্ড করে তদন্ত চলে। তিন সপ্তাহ আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর, সেই সংক্রান্ত রিপোর্টই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে দিয়েছে সিবিআই।

প্রসঙ্গত, বগটুই হত্যাকাণ্ডের ন মাস পর গ্রেফতার করা হয়েছিল এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। গ্রেফতারির ন’দিনের মাথায়  ডিসেম্বরের শেষ দিকে রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর খুনের পর বিস্ফোরক দাবি করেন পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল লালন শেখকে। লালনের জিভ কাটা ছিল, তাঁর পায়েও আঘাত ছিল বলে দাবি পরিবারের। এমনকি মা মাটির সঙ্গে লাগানো ছিল বলেও দাবি করেন তাঁরা। এদিকে লালনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ থাকে, গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে,  দেহে কয়েকটি ছড়ে যাওয়া আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষায় সেগুলিকে  ‘Superficial Bruise’ মার্ক বলে। এই মামলায় আগেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লোড টেস্টও করা হয়। এই মামলাটি এখনও হাইকোর্টে বিচারাধীন।