Lalon Sheikh: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুতে রিপোর্ট তলব মানবাধিকার কমিশনের
Lalon Sheikh: ইতিমধ্যেই লালন শেখের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের।
কলকাতা: রামপুরহাটের সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সিবিআই ডিরেক্টর, বীরভূমের জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সঙ্গে তলব করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট। চাওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলের সাইট প্ল্যান। ইতিমধ্যেই লালন শেখের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, দেহে কয়েকটি ছড়ে যাওয়া আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষায় সেগুলিকে ‘Superficial Bruise’ মার্ক বলে। লালনের দেহ শৌচাগারে যে শাওয়ার পাইপ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়. তার মাপ জোক করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
পোর্টে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, মেঝে থেকে সাড়ে ছয় ফুট উঁচুতে ছিল ওই পাইপ। লালনের উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট। লালনের পায়ের কাছে একটা প্লাস্টিকের টুল পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই লালনের সম ওজনের লোড টেস্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ৬৫-৭০ কেজি ওজনের পুতুল দিয়ে লোড টেস্ট করা হয়েছে।
বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। পরিবারের বক্তব্য ছিল, তাঁরা যখন লালনকে দেখেছিলেন, তখন তাঁর শরীরে কাপড় ছিল না। তাঁর জিভ কাটা ছিল। পায়ে রক্তের কালচিটে দাগ ছিল। সিবিআই-এর বিরুদ্ধেই পরিকল্পিতভাবে খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। উল্লেখ্য, লালনের মৃত্যু নিয়ে বিচারপতির নজরদারিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন জানানো হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত শুরু করে। যদিও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় কোন তদন্ত বিচারপতি করবেন না। এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট তলব করেছে।