AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hospital Negligence: জীবিত বাবাকে মৃত বানিয়ে দিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ, অতঃপর…

Medical College Hospital: গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় পূর্ণিমা দেবীর। কিন্তু মায়ের মৃত্যু শংসাপত্র (Death Certificate) হাতে পেতেই তাজ্জব মৃতার ছেলে। মৃত্যু শংসাপত্রে বাবা দূর্গাচরণ ভট্টাচার্যের নামের পাশে লেখা রয়েছে স্বর্গীয়।

Hospital Negligence: জীবিত বাবাকে মৃত বানিয়ে দিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ, অতঃপর...
কলকাতা মেডিকেলের ভুলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার মৃতার ছেলে
| Edited By: | Updated on: Mar 15, 2022 | 7:57 PM
Share

কলকাতা : হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির চূড়ান্ত নিদর্শন। জীবিত বাবাকে মৃত বানিয়ে দিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ (Kolkata Medical College)। ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা ভট্টাচার্যকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ৬৫ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় পূর্ণিমা দেবীর। কিন্তু মায়ের মৃত্যু শংসাপত্র (Death Certificate) হাতে পেতেই তাজ্জব মৃতার ছেলে। মৃত্যু শংসাপত্রে বাবা দূর্গাচরণ ভট্টাচার্যের নামের পাশে লেখা রয়েছে স্বর্গীয়। অথচ মৃতার স্বামী এখনও জীবিত এবং তিনি শয্যাশায়ী। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর এখনও তাঁকে দেওয়া হয়নি। ছেলের প্রশ্ন বাবা মারা গিয়েছেন, এই তথ্য মে়ডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ পেলেন কোথা থেকে? জীবিত ব্য়ক্তিকে কেন মৃত লেখা হল? প্রশ্ন তাঁর।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা ভট্টাচার্য। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। কিন্তু বৃদ্ধার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার পড়েছে মহা ফ্যাসাদে। সৌজন্যে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। মায়ের মৃত্যু শংসাপত্রে বাবাকেও স্বর্গীয় বানিয়ে ছেড়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে মৃত বৃদ্ধার ছেলে জানিয়েছেন, “বাড়ি ফিরে দু-তিন দিন পরে সার্টিফিকেট খুলে দেখছি এই অবস্থা। দেখি বাবাকে স্বর্গীয় বানিয়ে দিয়েছে। মায়ের হাতের শাখা, পলা, লোহা… এই সব কিছু খুলে দিয়েছিল। বলেছিল, এ সব কিছু চলবে না। হয়ত ডাক্তারবাবু ওই দেখেই অনুমান করে নিয়েছিলেন।” তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতির জন্য একদিকে যখন স্বজন হারানোর বেদনার আবহ রয়েছে পরিবারের মধ্যে, তারই মধ্যে আবার যুক্ত হয়েছে হয়রানি। মৃতার ছেলের বক্তব্য, তাঁর বাবা কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। মৃত্যু শংসাপত্রে এই গোলমালের কারণে বাবার পেনশনের টাকার ক্ষেত্রে গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে। ছেলের কথা, “যেহেতু ওনাকে মৃত বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই বলা হচ্ছে, মৃত ব্যক্তি তো পেনশন পায় না। এখন বিষয়টি সংশোধন করলে আমার বাবা পেনশনটা পাবেন। পেনশনের উপরেই আমাদের সব।

আরও পড়ুন : Bye Election : উপনির্বাচন পিছনোর সম্ভাবনা কম, ফের বদলাবে উচ্চমাধ্যমিকের সূচি?

আরও পড়ুন : The Kashmir Files: প্রধানমন্ত্রীর বার্তার পরেই বঙ্গ বিজেপির সবাই ছুটছেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখতে