কলকাতা: যাদবপুরে ভোটের প্রচারে গিয়ে নাম না করে দলের বিদায়ী তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ টানলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিনাভিতে নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে প্রার্থী পরিচয় করাচ্ছিলেন মমতা। সায়নীকে কাছে ডেকে, তাঁর হাত ধরে উঁচু করে বললেন, ‘আমার প্রার্থী সায়নী। সায়নীকে দিয়েছি এই কারণে, যে আগের বার আপনারা অতটা সার্ভিস পাননি।’ সায়নী তৃণমূলের অন্যতম তারকা মুখ। সেলেব-নেত্রী। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি দলীয় কাজকর্মেও ভীষণ সক্রিয় সায়নী। সায়নীর রাজনৈতিক দক্ষতা বুঝে দলনেত্রী মমতা তাঁকে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী করেছেন। আর এবার সেই সায়নীকে প্রার্থী করেছেন যাদবপুর থেকে।
উনিশের ভোটে এখান থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল টলি নায়িকা মিমি চক্রবর্তীকে। তারকা প্রার্থী সে বার জিতে সাংসদও হয়েছিলেন যাদবপুরের। কিন্তু মিমিকে এলাকায় না পাওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের একাংশের মনে ক্ষোভ জন্মেছিল। এরপর ব্রিগেডের ‘জনগর্জনের’ সমাবেশ থেকে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বাছাই ৪২-এর তালিকায় জায়গা পাননি মিমি। এবার আর লোকসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূলের অপর এক তারকা মুখ সায়নী ঘোষকে।
আজ হরিনাভির সভা থেকে মমতা যাদবপুরের বিদায়ী সাংসদের নাম না করেই স্বীকার করে নিলেন মিমি সাংসদ থাকাকালীন যাদবপুরবাসী সেভাবে পরিষেবা পাননি। যদিও এর জন্য টলি-নায়িকা মিমিকে দায়ী করছেন না তিনি, বরং তৃণমূলেরই ‘দোষ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সায়নীকে পাশে নিয়ে মমতা বলেন , ‘তাঁর (মিমির) অবশ্য কোনও দোষ ছিল না। তিনি নিজের ফিল্ম জগতে ব্যস্ত। এটা আমাদেরই দোষ ছিল। সে জন্য আমরা শুধরে নিয়েছি। সায়নী এলাকায় পড়ে থেকে লড়াই করবেন এবং দাঁতে দাঁত দিয়ে লড়াই করবেন উন্নয়নের কাজে।’