সোমবার ২০ মে পঞ্চম দফার ভোট। এদিন ভোট হবে বাংলার সাত লোকসভা আসনে। বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি ও আরামবাগে। এরমধ্যে হাইভোল্টেজ দুই কেন্দ্র বনগাঁ ও ব্যারাকপুর। বনগাঁয় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। যিনি একুশের ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও পরে ‘ঘরওয়াপসি’ হয়।
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রও খুব তাৎপর্যপূর্ণ। অর্জুন সিংয়ের মুখ রক্ষার লড়াই এবার। যে অর্জুন এক সময় ভাটপাড়ার বাহুবলী নেতা হিসাবে মুখে মুখে ফিরতেন। ২০১৯ সালে তৃণমূল তাঁকে টিকিট দিতে রাজি না হওয়ায় বিজেপিতে যোগ দেন। পদ্মফুল প্রতীকে জিতে সাংসদও হন। তবে ২০২১ সালের পর যোগাযোগ বাড়ান তৃণমূলের সঙ্গে। তবে অর্জুনের তৃণমূলে ‘প্রত্যাবর্তন’ খুব একটা সুখের হয়নি। সেই ‘মান’ আর ফেরত পাননি পুরনো দলের তরফে।
২০২৪ সালের প্রার্থী তালিকায় তৃণমূল তাঁকে স্থান না দেওয়ায় ফের বিজেপিমুখী হন অর্জুন। তাঁকে এবারও টিকিট দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক, যিনি নৈহাটির বিধায়ক। সিপিএমের মুখ দেবদূত ঘোষ। শ্রীরামপুরে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম বিজেপির কবীর শঙ্কর বোসের লড়াই। সম্পর্কে তাঁরা প্রাক্তন শ্বশুর-জামাই।
ভোটের প্রচারপর্বে বারবার তাঁদের নিয়ে নানা চর্চা হয়েছে। সিপিএম এখানে প্রার্থী করেছে দীপ্সিতা ধরকে। এ দফার ভোটে নজর রয়েছে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রেও। লকেট চট্টোপাধ্যায় এখানকার বিদায়ী সাংসদ। তৃণমূলের বড় চমক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ।