Maduparna Thakur: জীবনের প্রথম অধিবেশন, শেষ হতে না হতেই পরীক্ষা দিতে ছুটলেন বিধায়ক মধুপর্ণা
Maduparna Thakur: আজ অধিবেশন ছিল বিধান সভায়। সময় মতো কলকাতা পৌঁছেছিলেন মধুপর্ণা। অধিবেশনে যোগ দেন তিনি। তারপরই হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে পড়লেন। আইটি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ছুটলেন বনগাঁয়। এ দিন বেরনোর আগে মধুপর্ণা বলেন, "এখন হাবড়া যেতে হবে আমায়। আজ কম্পিউটার পরীক্ষা রয়েছে।"
কলকাতা: সদ্য সমাপ্ত হয়েছে উপভোট। বাগদা উপনির্বাচনে ৩৩ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের মধুপর্ণা ঠাকুর। বিধানসভার সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক তিনি। তবে মধুপর্ণা এখনও পড়ুয়া। কলেজে পড়েন তিনি। একদিকে রাজনীতি অন্যদিকে নিজের কেরিয়ার। দু’টিকেই একসঙ্গে সামাল দিতে চান বিধায়ক। তাই আজ বিধানসভার অভিবেশন শেষ হতেই ছুটলেন হাবড়ায়। পরীক্ষা ছিল তাঁর।
আজ অধিবেশন ছিল বিধান সভায়। সময় মতো কলকাতা পৌঁছেছিলেন মধুপর্ণা। অধিবেশনে যোগ দেন তিনি। তারপরই হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে পড়লেন। আইটি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ছুটলেন বনগাঁয়। এ দিন বেরনোর আগে মধুপর্ণা বলেন, “এখন হাবড়া যেতে হবে আমায়। আজ কম্পিউটার পরীক্ষা রয়েছে। এটা দিলেই শেষ হবে। আমি দু’টোই ব্যালেন্স করার চেষ্টা করছি। পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতিও করছি। দুটোকে সমান ভাবে গুরুত্ব দিলে কোনও অসুবিধা হবে না।”
প্রসঙ্গত, বাগদা উপনির্বাচনে ২৫ বয়সী মধুপর্ণার উপর আস্থা রেখেছিল তৃণমূল। খোদ রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক তাঁর হয়ে হাতজোর করে ভোটে ভিক্ষা করেছিলেন। বলেছিলেন,”মধুপর্ণা বাচ্চা মেয়ে। এলাকায় ছুটে বেরিয়ে কাজ করবে। আর যদি না হয় দু’বছর পর বদলে দেবেন।” ভোটের সময় দেখা যায় মধুপর্ণা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চষে বেড়ান। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের প্রচার করেন। মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করেন। আর তারপর ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, মধুপর্ণা তাঁর নিকটবর্তী বিজেপি প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাসকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসেন।