
কলকাতা: ‘ভারতে যে যেখানে ইচ্ছা যেতে পারে। সে তো ভারতীয় নাগরিক। যাকেই পারছে বাংলা ভাষায় কথা বললেই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গা!’ নিউটাউনে নিজন্ন-সুজন্ন আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধনী মঞ্চে ফের গর্জে উঠলেন মমতা। কেন্দ্রকে মনে করালেন অতীত! মনে করালেন একাত্তরের বাংলাদেশের প্রসঙ্গও। দাগলেন তোপের পর তোপ। মমতার স্পষ্ট প্রশ্ন, “রোহিঙ্গা তো মায়ানমার। ওরা বাংলাটা জানল কোথা থেকে?”
ভিন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক-হেনস্থা নিয়ে সুর চড়িয়েই চলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বাংলায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ বিজেপি। ‘রোহিঙ্গা’ ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১৬ জুলাই বাঙালি পরিযায়ী হেনস্থার প্রতিবাদে তৃণমূলের মিছিলে মমতার হাঁটা নিয়ে তোপ দেগে বলেছিলেন, “মমতা হাঁটছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাপোর্ট করে। কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম ভোটার লিস্টে থাকতে পারে না। বিহারে যদি ৩০ লাখ বাদ চলে যায়, এখানে ৯০ লক্ষ আছে।” এবার মুখ খুলতে দেখা গেল মমতাকে।
নিউটাউনের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে মমতা বলেন, “ভারতে যে যেখানে ইচ্ছা যেতে পারে। সে তো ভারতীয় নাগরিক। যাকেই পারছে বাংলা ভাষায় কথা বললেই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গা! কোথা থেকে এল রোহিঙ্গা? রোহিঙ্গা তো মায়ানমার। ওরা বাংলাটা জানল কোথা থেকে?” এরপরই ইতিহাস মনে করিয়ে বলেন, “আর বাংলাদেশের লাস্ট চ্যাপ্টার ১৯৭১ মার্চ। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি হয়েছিল। রিফিউজিরা এসেছিল। সব হারিয়ে আমাদের দেশে ফিরে এসেছিল সব হারিয়ে। তাঁরা তো ভেরি মাচ ইন্ডিয়ান সিটিজেন। এখন আসতে পারে না।” এরপরই শোনা যায় মমতার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। বলেন, “এখন আসতে না পারলেও অতিথি করে কয়েকজনকে রেখেছে ভারত সরকার। আমি কী না বলেছি? রাজনৈতিক কারণ আছে। ভারত সরকারের অন্য কারণ আছে। কই আমরা তো কখনও বলি না! আপনারা কেন বলবেন! বাংলাদেশে কথা বললেই বাংলাদেশি হয়ে গেল! আগে যখন বাংলাদেশে জন্মেছিল তখন ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ছিল। তাঁদের অভ্যাসটা রয়ে গিয়েছে কথা বলার। কিন্তু তাঁরা বাংলাদেশি নয়।”