সন্দেশখালির জমিতে জমছে জল, মমতা বললেন ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’, চিঠি যাবে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে?
Mamata Banerjee: চাষের জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেই সমস্যার কথাই সামনে এনেছিলেন বিধায়ক। মমতা বললেন, কেন্দ্রের ভাবার বিষয় এটা।
মধ্যমগ্রাম : জল জমার সমস্যা এ রাজ্যে নতুন নয়। বিশেষত চলতি বছরে প্রবল বৃষ্টিতে এই জল জমার ছবি দেখা গিয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। রাজনৈতিক তরজাও চোখে পড়েছে এই ইস্যুতে। আজ প্রশাসনিক বৈঠকেও উঠে আসে সেই সমস্যার কথা। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) চাষের জমিতে জল জমছে। এ কথা শোনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming)-এর জন্য এটা হচ্ছে। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে সন্দেশখালির সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়। সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, সন্দেশখালিতে নিকাশি সমস্যা রয়েছে। যার জন্য জল জমে যাচ্ছে চাষের জমিতে। ফলে কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিধায়ক বলেন, ‘সন্দেশখালিতে প্রায় ৮টা দ্বীপ আছে। সুয়েজ গেটগুলো অনেক পুরনো। সেগুলো দিয়ে জল ঢুকে ধান চাষের ক্ষতি হচ্ছে।’
এ কথা শুনে মমতা বলেন, ‘অনেক দিন ধরে এগুলো চলে আসছে। যখন নতুন কোনও স্কিম আসবে, তখন ভাবা যাবে।’ প্রত্যেক বছরই এই সব এলাকায় জল জমার কষ্ট ভোগ করতে হয়, এ কথাও স্বীকার করে নেন মমতা। এরপরই তাঁর মুখে শোনা যায় গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কথা। তিনি বলেন, ‘আগে যেখানে ১০ দিন বৃষ্টি হত , এখন সেখানে ১০০ দিন বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী বছর কী হবে জানি না।’ মমতার কথায়, ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং একটা জেঞ্জারাস জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এটা ভাবা উচিৎ।’
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মমতা বলেন, ‘এই বিষয়ে নীতি আয়োগকে একটা চিঠি লেখা যেতে পারে।’ এমনকি বিশ্ব ব্যাংককে এ বিষয়ে চিঠি লেখা যেতে পারে কি না, তাও জিজ্ঞাসা করেন মুখ্যসচিবকে। পাশাপাশি, বিধায়ককে মমতা পরামর্শ দেন, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে যখন কোনও ওয়ার্ল্ড সামিট হবে, তখন এই ইস্যুগুলো তুলতে হবে।
আরও পড়ুন : ‘আর একটাও অ্যাক্সিডেন্ট যেন না হয়’, মমতার ধমক খেয়েই চিংড়িঘাটায় ছুটলেন স্বয়ং সিপি