কলকাতা: কোভিড আবহে পুজো (Durga Puja) হওয়ায় বাধা নেই। কিন্তু রাতে পুজো পরিক্রমা করা যাবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। ভোটের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো উদ্যোগতাদের সঙ্গে এক সম্মেলনে এমনটাই বলতে শোনা যায় তাঁকে। একই সঙ্গে সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে তিনি সতর্ক করেছেন যাতে কোভিড বিধি পালনের মাধ্যমে পুজোর আয়োজন করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিনের আলোচনায় পুজো কমিটিগুলির উদ্দেশ্যে বলেন, “কোভিড প্রটোকল মেনে পুজোর আয়োজন করা হবে। সরকার গত বছর যা যা ঘোষণা করেছিল, এ বছরেও সবগুলোই বলবৎ থাকবে।” পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলিকে তাঁর নির্দেশ, “মাস্ক দেবেন, স্যানিটাইজেশনে নজর দেবেন।”
যদিও রাতের কলকাতায় ঘুরে পুজো দেখার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হবে কি না, সেই সংশয় জিইয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “রাতের দিকে যেহেতু বেশি দর্শনার্থী বের হন, তাই রাতের দিকে ছাড় দেওয়ার বিষয়টা নিয়ে আমরা অবশ্যই ভাববো।” তবে ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ভোট মেটার পরই এই নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা হবে বলে জানিয়েছেন নেত্রী।
এমনকী, প্রতিবারের মতো এবার দুর্গাপুজোর কার্নিভাল আয়োজনের বিষয়েও পাকাপাকি কোনও সিদ্ধান্ত যে রাজ্য সরকার নেয়নি, সেটা স্পষ্ট করেছেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, “কোভিড পরিস্থিতি যদি ঠিক থাকে তাহলে সেটা করা যেতে পারে।” প্রসঙ্গত, এ বছর ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসর্জন চলবে। ইউনেস্কোর কাছে এ দিন আবারও দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক উৎসবের খেতাব দেওয়ার দাবি তুলতে শোনা যায় তাঁকে।
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা জানান, চলতি বছর মোট ৩৬ হাজার পুজো কমিটি পুজো করছে রাজ্যে। যার মধ্যে ২৫০০ পুজো হবে কলকাতায়। এর মধ্যে ১৫০০ পুজোই মহিলা চালিত। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন সমস্ত পুজো কমিটিগুলোকে পুজোর সময় ক্লাবগুলোকে কোভিড সচেতনতা প্রচারের অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর আবেদন, সরকারের যে সমস্ত সামাজিক প্রকল্প রয়েছে, সেই বিষয়গুলোও যদি প্রচার করা হয় তাহলে ভাল হয়।
প্রত্যেকবারের মতো এবারও পুজো কমিটিগুলোকে বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড়, এবং ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মমতা। পুজোর লাইসেন্স ফি-ও মকুব করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মমতা। পুজো কমিটির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই মেগা বৈঠকে এ দিন হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পাশাপাশি রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারাও হাজির ছিলেন আজকের বৈঠকে।
আরও পড়ুন: ‘এসএসসি-র ওপর আমার কোনও বিশ্বাসই নেই’, আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠল একাধিক প্রশ্ন