Semi-Conductor: প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে বাংলায়, মার্কিন কনসাল জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক মমতার
Semi-Conductor: নবান্ন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নিউ জার্সির সংস্থা 'স্যানটেক গ্লোবাল ইনকর্পোরেটেড' কলকাতায় একটি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্প স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ন্যানো ইলেক্ট্রনিক্সের মতো প্রযুক্তিতে এক্সপার্ট এই সংস্থা।

কলকাতা: সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং নিয়ে ইউএস কনসাল জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘গ্লোবাল ফাউড্রিজ’ নামের যে সংস্থা বিশ্বের বৃহত্তম মাইক্রোচিপস তৈরি করে, তারা এই সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফাকচার করবে বলে সূত্রের খবর। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সল্টলেক সেক্টর ফাইভে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অব ইন্ডিয়ায় ১৩ হাজার স্কোয়ার ফুট জায়গা দেওয়া হয়েছে। আরও ১৯ হাজার স্কোয়ার ফুটের জায়গা চেয়েছে ওই সংস্থা।
উল্লেখ্য, ‘গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ’ হল এমন একটি প্রধান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি যা স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং গাড়ির মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ব্যবহৃত মাইক্রোচিপ তৈরি করে। মূলত বিশ্ব জুড়ে আধুনিক প্রযুক্তিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে এই সংস্থা।
এই সংস্থাই কলকাতা পাওয়ার সেন্টারে ডিজাইন, টেস্টিং ইত্যাদির জন্য একটি সেন্টার স্থাপন করতে চলেছে। পরবর্তীতে ফ্যাব্রিকেশনের কাজও করা হতে পারে কলকাতাতেই। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তাদের জায়গা দিয়েছে। ওই একই পার্কের ভিতর আরও ১৯ হাজার বর্গফুট জায়গা চেয়েছে ওই মার্কিন সংস্থা। সেই আবেদন নিয়ে বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি রাজ্য সরকার একটি পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স ইকোসিস্টেম তৈরি করতেও আগ্রহী। এছাড়াও, রাজ্য গ্লোবাল ফাউন্ড্রি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে যৌথভাবে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্যও কাজ শুরু করতে চলেছে। এর ফলে বাংলার পড়ুয়ারা উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জন্য গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার নীতি (জিসিসি নীতি) প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং পরামর্শ প্রক্রিয়া চলছে।
নবান্ন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নিউ জার্সির সংস্থা ‘স্যানটেক গ্লোবাল ইনকর্পোরেটেড’ কলকাতায় একটি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্প স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ন্যানো ইলেক্ট্রনিক্সের মতো প্রযুক্তিতে এক্সপার্ট এই সংস্থা। রাজ্য সরকারের তরফে ওই সংস্থার সঙ্গেও কথাবার্তা শুরু হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে এরকম শক্তিশালী সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম তৈরি হবে। সেই সঙ্গে আর্থিক ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব পড়বে, কর্মসংস্থানের বিপুল সুযোগ তৈরি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
