Mamata Banerjee: ‘রাজভবনের সামনে ধরনা দিতে বাধ্য হব’, মমতার মন্তব্যে বিজেপি বলছে, ‘সারা ভারত দেখবে’

Mamata Banerjee: সরাসরি নাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এখানে বসে আছেন একজন মাননীয় রাজ্যপাল। তিনি বলছেন, আমি স্কুল দেখব। আমি কলেজ দেখব। আমি বিশ্ববিদ্যালয় দেখব।"

Mamata Banerjee: 'রাজভবনের সামনে ধরনা দিতে বাধ্য হব', মমতার মন্তব্যে বিজেপি বলছে, 'সারা ভারত দেখবে'
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2023 | 9:45 PM

কলকাতা: ধরনা দেওয়ার নজির কম নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন সময় থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও নানা ইস্যুতে ধরনা দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার একেবারে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসার কথা শোনা গেল তাঁর মুখ থেকে। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাতের কথা এতদিনে সবার জানা হয়ে গিয়েছে। আজ মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের দিনে কোনও রাখঢাক না করে একেবারে সরাসরি রাজ্যপালকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভূমিকায় যে তিনি বেশ অসন্তুষ্ট, তা বুঝিয়ে দিয়েছে স্পষ্টভাবে। জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসতে দ্বিধাবোধ করবেন না তিনি।

শিক্ষক দিবসে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মমতা এদিন বলেন, “শিক্ষায় আমরা এতদূর এগোতে পেরেছি, কারণ আমাদের কাজে কোনও বাধা আসেনি। আর আজ আমাদের কাজে পদে পদে বাধা আসছে।” তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়, রাজ্যপালের দিকেই আঙুল তুলছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমার মন যেটা বলে সেটা করি। সবসময় যে আমি ঠিক, সেটা নয়। কাজ করতে গেলে ভুল সবারই হয়। কিন্তু, ইচ্ছাকৃত এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুলের মধ্যে পার্থক্য আছে।”

এরপর একেবারে সরাসরি নাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে বসে আছেন একজন মাননীয় রাজ্যপাল। তিনি বলছেন, আমি স্কুল দেখব। আমি কলেজ দেখব। আমি বিশ্ববিদ্যালয় দেখব। আমি বলি, আইন মেনে চলুন। আমার কোনও আপত্তি নেই।” উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল যে তৎপরতা দেখিয়েছেন, তা নিয়ে যে মমতার ঘোর আপত্তি রয়েছে তা বুঝিয়ে দেন। উপাচার্য নিয়োগের নিয়মও উল্লেখ করেন তিনি। রাজ্যপাল বোসকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “দুটো বিজ্ঞপ্তি জারি করে উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে। রাজভবনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফোন নম্বর রাখা হয়েছে। রাজভবন থেকে ফোন আসে আর বলা হয়, রাজ্যপাল দেখা করতে বলেছেন। আমি তাঁকে অনেকবার বলেছি, এসব করবেন না।”

বিধানসভায় বিল পেশ হলেও, তা ফেরত আসে না রাজভবন থেকে, এমন অভিযোগ উঠেছে আগেই। এদিনও মমতা বলেন, প্রত্যেকটা বিল আটকে রেখে দেন। যা ইচ্ছে, তাই করে যাচ্ছেন। এরপরই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, “প্লিজ টেক কেয়ার। এখানে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব রয়েছেন। আমাদের এই লড়াইটা খুব ভালভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আর যদি মনে হয়, কারও অধিকার কেউ কেড়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ করছে, তাহলে মনে রেখো আমি কিন্তু বাধ্য হব রাজভবনের সামনে ধরনা দিতে। আমি শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে দেব না।”

এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশ। উনি বসতেই পারেন। সারা ভারত দেখবে, বাংলায় সাংবিধানিক প্রধান ও প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে সম্পর্ক কেমন।” দৈনন্দিন জ্বলন্ত সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রাজ্যপালকে বেছে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা।