Mamata Banerjee: ৬০ টাকা বেতনের চাকরি করতেন মমতা, সামনে এল সেই তথ্য
Mamata Banerjee: ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে পুজো উপলক্ষে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েই ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
কলকাতা : একসময় বিরোধী নেত্রী আর এখন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের প্রথম সারির রাজনীতিকদের তালিকায় যাঁর নাম উঠে আসে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাদামাটা ভাবমূর্তি বরাবরই প্রকাশ পেয়েছে। প্রথম থেকে সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটি পরেই রাজনীতি করেছেন, যোগ দিয়েছেন একের পর আন্দোলনে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও বদল আসেনি সেই পোশাকে। এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন একসময় স্কুলে শিক্ষকতাও করতেন তিনি। বেতন পেতেন মাত্রা ৬০ টাকা। বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের কাঁসারি পাড়ার এক শীতলা মন্দিরে গিয়ে সেই গল্প বলেছেন তিনি।
এ দিন ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন কলেজে পড়তাম তখন এখানে একটি স্কুলে পড়াতাম। প্রায় বিনা পয়সায়। ৬০ টাকা বেতন পেতাম।’ তখন বাবা মারা গিয়েছেন, তাই সেই টাকা মায়ের হাতে তুলে দিতেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই স্কুলটি এবার ইংরেজি মাধ্যম স্কুল করে দেওয়া হবে বলে এ দিন জানিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ভবানীপুরের বাসিন্দা মমতা এ দিন এলাকার মন্দিরে গিয়ে ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করেন। ওই শীতলা মন্দিরে যে তিনি মাঝে মধ্যেই আসেন, সে কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভবানীপুর মানে শুধু বাঙালি, শুধু অবাঙালি, শুধু হিন্দু, শুধু মুসলিম বা শুধু গুজরাটি নয়, ভবানীপুরের সব জাতি-ধর্মের মানুষই রয়েছেন। ছেলেবেলায় বাবার হাত ধরে দুর্গা পূজায় আসার কথাও শোনা যায় মমতার মুখে।
আর কাঁসারি পাড়ায় তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অনেকগুলো দিন কেটেছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। অন্যান্য বারের জায়গার মত এ দিনও মমতার মুখে সর্ব ধর্মের কথা শোনা গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন একদিকে তিনি ইদের দিন রোজা ভাঙার অনুষ্ঠানেও যোগ দেন, আবার পুজোতেও যান। কখনও কখনও গুরুদ্বারে গিয়ে জলও খান তিনি। শীতলা পুজের দিন এলে শীতলা পুজোর মন্ত্র জানেন না বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, শীতলা পুজোর তাৎপর্য এ দিন বর্ণনা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মা শীতলা মানে মা সকলকে ঠাণ্ডা রাখেন। মা যেন সকলকে শীতল রাখেন। এটাই তাঁর তাৎপর্য। যাঁরা দুষ্টুমি করেন তাঁদেরকে মা শাস্তিও দেন।’