Mamata Banerjee: ‘শিল্পজগতের অপূরণীয় ক্ষতি’, রতন টাটার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মমতা

Mamata Banerjee: "রতন টাটা ভারতীয় শিল্পের একজন অগ্রণী নেতা এবং একজন জন-উৎসাহী জনহিতৈষী মানুষ। তাঁর মৃত্যু শিল্পজগতে অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর পরিবারের সকল সদস্য ও সহকর্মীদের প্রতি আমার সমবেদনা।"

Mamata Banerjee: 'শিল্পজগতের অপূরণীয় ক্ষতি', রতন টাটার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মমতা
রতন টাটার প্রয়াণে শোতস্তব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 10, 2024 | 12:41 AM

কলকাতা: TATA গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রথম সারির শিল্পপতি রতন টাটার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে মমতা লেখেন, ” রতন টাটার মৃত্যুতে শোকাহত। টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা ভারতীয় শিল্পের একজন অগ্রণী নেতা এবং একজন জন-উৎসাহী জনহিতৈষী মানুষ। তাঁর মৃত্যু শিল্পজগতে অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর পরিবারের সকল সদস্য ও সহকর্মীদের প্রতি আমার সমবেদনা।” 

বাংলার সিঙ্গুর পর্ব।  বঙ্গ রাজনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যে অধ্যায়ের মধ্য দিয়েই বাংলায় ৩৪ বছরের বাম শাসনের পতনের বীজ বুনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক এই জায়গাতেই রয়েছে বাংলার অন্যতম প্রথম সারির শিল্পপতি রতন টাটার সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের এক সমীকরণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে উৎখাত করার দায় বর্তেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই। এমনকি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে বলতে শোনা গিয়েছে, “কেউ কেউ বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে যে, আমি টাটাকে তাড়িয়ে দিয়েছি, টাটা চাকরি দিচ্ছে, আরে টাটাকে আমি তাড়াইনি।” বাংলায় যতবার শিল্প নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা, এ প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছেই।

২০১৬ কাট টু ২০২৩। ন্যানো গাড়ি না বানাতে দেওয়ার খেসারত হিসাবে ৭৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ বর্তেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে। তিন সদস্যের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায়ে সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের কারখানা না হওয়ার জন্য টাটা গোষ্ঠীকে বিপুল অর্থ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যকে। সে সময়েও আরও একবার রতন টাটা-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখেছিল বাংলা। দেশের অন্যতম প্রথম সারির শিল্পপতির প্রয়াণে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই লিখলেন,  শিল্পজগতের মহীরুহ পতন।