Mithun Chakraborty: ‘চমৎকার মানুষ’, দাদাসাহেব ফালকে পাওয়ার পর মোদীকে নিয়ে যা বললেন মিঠুন
Mithun Chakraborty: গত ৮ অক্টোবর মুক্তি পাবে মিঠুন অভিনীত ছবি ‘শাস্ত্রী’। আর সেই দিনই দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে তাঁর হাতে। এই সম্মান পরিবার এবং তাঁর সকল অনুরাগীকে উত্সর্গ করতে চান অভিনেতা।
কলকাতা: একসময় বলিউড কাঁপিয়ে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। টলিউডেও তাঁর জনপ্রিয়তা কম নয়। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য সেই মিঠুন চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা হওয়ায় খুশি বাংলার শিল্পীমহল। খুশি তাঁর অনুরাগীরাও। তবে বর্তমানে মিঠুনের রাজনৈতিক পরিচয় বিজেপি নেতা হওয়ায় খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না বিরোধী তথা তৃণমূল। এই ধরনের কটাক্ষ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন অভিনেতা।
তাঁর নাম পুরস্কার প্রাপক হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মিঠুন। তিনি জানিয়েছেন, সব পুরস্কার লড়ে নিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিরোধীরা যে কটাক্ষ করছেন, সেই সম্পর্কে মিঠুন বলেন, এটাই স্বাভাবিক। দলে থাকলে তো বলতেই হবে।
তবে বিজেপিতে থাকার জন্য তিনি যে কোনও সুবিধা পাননি, বা সুবিধা নেননি, সে কথা স্পষ্ট করে দেন মিঠুন। বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, “আমি কারও কাছ থেকে সুবিধা পাইনি। আমি কোনও সুবিধা নিইনি। লড়াইটা আমার একার।”
মিঠুন চক্রবর্তীর নাম ঘোষণার পর মঙ্গলবার সকালেই অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, ‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম মিঠুন চক্রবর্তীর অনুরাগী। তিনি একজন কালচারাল আইকন।’ মিঠুন চক্রবর্তীও এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয়ের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে মিঠুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার সম্মান ও ভালবাসা রইল। উনি চমৎকার মানুষ। অনেকবার দেখা হয়েছে আমাদের। কথা বললেই বুঝতে পারবেন, উনি কত ভাল মানুষ।”
তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ফোন পাননি তিনি। মিঠুনের সরাসরি জবাব, ‘উনি কেন ফোন করবেন। উনি তো বিরোধী দলের।’
উল্লেখ্য, এদিন পুরস্কার ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, “শুধু অনুরোধ, দীর্ঘ উপেক্ষার পর আপনার পদ্মশ্রীর জন্য প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের চিঠি ও চেষ্টার দিনগুলো এবং সেইসঙ্গে মমতাদির আপনাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে স্বীকৃতিদান ভুলে যাবেন না।”