PAC Chairman : জল্পনাতে সিলমোহর, মুকুলের জায়গায় PAC চেয়ারম্যান ‘দলবদলু’ কৃষ্ণ কল্যাণী
PAC Chairman : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু, নির্বাচনের কয়েকমাস পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। শেষপর্যন্ত গত বছরের ২৭ অক্টোবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।
কলকাতা : জল্পনাই সত্যি হল। মুকুল রায়ের জায়গায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) চেয়ারম্যান হলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। পিএসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর নাম জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। বিধানসভার খাতায়-কলমে কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি বিধায়ক। তবে গত বছরের অক্টোবরে তিনি তৃণমূলে ‘যোগ’ দেন। মুকুল রায়ের মতো তাঁরও দলবদল নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতর জারি রয়েছে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু, নির্বাচনের কয়েকমাস পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। শেষপর্যন্ত গত বছরের ২৭ অক্টোবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। যদিও বিধানসভার খাতায় কলমে এখনও কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি বিধায়ক।
মুকুল রায় পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে কয়েকদিন আগে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু, তাঁর ওই পদে থাকা নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন চলেছিল। একুশের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জেতেন তিনি। পরে জুন মাসে তৃণমূল ভবনে সপুত্র দেখা যায় তাঁকে। উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে বিজেপি ও শাসকদলের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। শেষপর্যন্ত বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মুকুলের তৃণমূলে যোগদানের কোনও তথ্য নেই। তিনি বিজেপি বিধায়ক। এর কয়েকদিন পর অবশ্য শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুকুল। তাঁর জায়গায় বসানো হল কৃষ্ণ কল্যাণীকে।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন বাম পরিষদীয় নেতা তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বিধানসভার গরিমা শেষ করার জন্য যা করার, সব কিছু করা হচ্ছে। কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, আমরা সবাই জানি। তিনি পিএসি সদস্য ছিলেন না। পিছনের দরজা দিয়ে সদস্য করা হল। এখন পিছনের দরজা দিয়ে পিএসি চেয়ারম্যানও করা হল।”
শাসকদলের তরফে এই নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলেননি। এক নেতা বললেন, “বিধানসভার স্পিকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর কমিটির বিষয়ে স্পিকারই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। ফলে এ নিয়ে আমাদের আলাদা করে কিছু বলার নেই।”
ওয়াকিবহল মহলের বক্তব্য, মুকুলকে নিয়ে এতদিন টানাপোড়েন চলছিল। এ বার কৃষ্ণ কল্যাণীকে পিএসি চেয়ারম্যান পদে বসানোয় ফের তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব বাধবে। কারণ, কয়েকদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কৃষ্ণ কল্যাণীকে পিএসি চেয়ারম্যান করা হলে আদালতে যাবেন।