‘গুজরাটে তো বিরোধী দলনেতাকে ডাকলেন না?’ মমতার সুরেই সুর মেলালেন অধীর
গুজরাট-ওড়িশায় বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়নি বলে আগেই অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কলকাতা: কলাইকুন্ডার যে বৈঠক ঘিরে এত বিপত্তি, তার সূত্রপাত বিরোধী দলনেতার উপস্থিতি ঘিরেই। কেন শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ডাকা হল মোদীর বৈঠকে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে শাসক শিবির। আর সেই একই প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও (Adhir Chowdhury)। যদিও তিনি জানিয়েছেন, তাঁকেও ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
গত কাল থেকে মোদী-মমতার বৈঠক থেকে জন্ম হয়েছে চূড়ান্ত রাজনৈতিক বিতর্কের। আর সেই বিতর্কে এবার মুখ খুললেন অধীর চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এ দিন তিনি দাবি করেন, সকাল ৭টায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুপুর ২টোর মধ্যে তিনি বৈঠকস্থলে পৌঁছতে পারতেন না। তাই, তিনি যে যেতে পারবেন না, সে কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর বিরোধী দলনেতার প্রসঙ্গ তুলে অধীর বলেন, ‘বিরোধী দলকে সম্মান উচিৎ ঠিকই। তবে বিচার সবার প্রতি সমান হওয়া উচিৎ। গুজরাটে কয়েকদিন আগে সাইক্লোন হল। তখন কেন বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হল না?’
তবে অধীরের দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাচ্ছেন, তখন আর তাঁর পরিচয় ব্যক্তি হিসেবে নয়।’ তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে মোদী-মমতার মধ্যে ব্যক্তি সংঘাত দেখা যাচ্ছে। এটা হওয়া উচিৎ নয়।
আরও পড়ুন: কোভিডে বাবা-মা হারা শিশুদের ১০ লক্ষ টাকা দেবে কেন্দ্র, একগুচ্ছ মানবিক সিদ্ধান্ত মোদীর
মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে অধীর বলেন, ‘বাম আমলেও বিশ্বস্ত, দক্ষ সচিব ছিলেন আলাপন, তৃণমূল আমলেও তিনি বিশ্বস্ত, দক্ষ সচিব। তাই স্বাভাবিকভাবেই মমতা তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক সংঘাতের প্রভাব পড়েছে তাঁর ওপর।’
মমতা আজ, নবান্ন থেকে দাবি করেছেন, ‘বিরোধী দলনেতাকে যদি সম্মান দেওয়া হয়, তাহলে গুজরাটে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয় না কেন? লোকসভায় বিরোধী দলনেতাকে সম্মান দেওয়া হয় না কেন? ওড়িশাতেও ডাকা হল না কেন?’ যদিও শুভেন্দু অধিকারী পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ‘ওড়িশাতে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু করোনা হওয়ায় উপস্থিত হতে পারেননি তিনি।