কলকাতা : ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের এ রাজ্যেই পড়াশোনার ব্যবস্থা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শুধু মেডিকেল পড়ুয়ারাই নয়, এর পাশাপাশি ডেন্টাল, ভেটেরিনারি এমনকি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদেরও প্রত্যেকে কে কোথায় পড়বেন, সেই সবের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। সেই নিয়েই এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ সরকার। বললেন, “ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের নিয়ে (রাজ্য সরকার) যা বলছে , তাই ঠিক নয়। চটক দেওয়া হচ্ছে। নিয়ম মেনে করতে হবে। নিয়মটা ঠিক করে মেডিকেল কাউন্সিল। আমি জানি ইউক্রেন থেকে অনেকে অন লাইন ক্লাস করছেন। যেটা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক বলছেন না। এই ভাবে কাউকে ভর্তি করানো যায় না।”
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে এসেছেন। তাঁদের পাশে থাকারও বার্তা দিয়ে এসেছেন। এবার শেষ পর্যন্ত নিজের সেই কথা রাখলেন মমতা। এমনকী কোন বর্ষের মেডিকেল পড়ুয়ারা কোথায় পড়বেন, সেই সবও ঠিক করে ফেলেছে মমতার সরকার। যেমন, যাঁরা ষষ্ঠ বর্ষের মেডিকেল পড়ুয়া, তাঁদের সরকারি মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নশিপ করতে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আবার যাঁরা প্রথম বর্ষের পড়ুয়া, তাঁদের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে কাউন্সিলিংয়ে বসার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এভাবে আদৌ ভর্তি করানো যায় কি না, তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার।
এর পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রসঙ্গে সুভাষ সরকারের মত, “প্রায় সব প্রদেশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। শিক্ষাবিদরাও বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। এই শিক্ষা নীতি হল উদার। সামগ্রিক শিক্ষা হল এই শিক্ষা নীতি একটি বড় দিক। সমস্ত ছাত্র ও অভিভাবক কথা ভেবে পশ্চিমবঙ্গও এর সঙ্গে যুক্ত হোক। তা নাহলে, (রাজ্য) পিছিয়ে পড়বে।” তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে গৈরিকীকরণ এবং বেসরকারিকরণের বিষয়ে যে চর্চা চলছে তা “একদম ভুল ধারণা” বলেই মনে করছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের স্কুলগুলির গরমের ছুটি এগিয়ে আনা প্রসঙ্গেও সরব হন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, “পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক বেশী গরম, এমন জায়গাতেও স্কুল চলছে । তাহলে কেন এতদিন এই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ?”
আরও পড়ুন : Weather Update: আন্দামান সাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, তবে কি ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুুটি?
আরও পড়ুন : Firhad Hakim: ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’, বিজেপি বিধায়ককে খোঁচা ফিরহাদের