AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CPIM: হোলটাইমার হতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণ কমরেডদের, খেলা ঘুরছে সিপিএমের?

CPIM: কলকাতায় শেষবার হোলটাইমার নিয়োগ হয়েছিল ২০১৬ সালে। আর উত্তর চব্বিশ পরগনায় প্রায় দশ বছর আগে। সূত্রের খবর, তবে উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্কটের সঙ্গে ছিল দলের কোন্দল। তবে আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে ধীরে ধীরে নেওয়া হবে হোলটাইমার।

CPIM: হোলটাইমার হতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণ কমরেডদের, খেলা ঘুরছে সিপিএমের?
বদলাচ্ছে সময়? Image Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2023 | 6:52 PM
Share

কলকাতা: সাগরদিঘির উপনির্বাচনে ঘুরে গিয়েছিল খেলা। জিতে গিয়েছিলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন বাংলায় ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সিপিএম। সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট সাগদিঘির উপনির্বাচনে। কিন্তু, ধূপগুড়িতে তো মুখ থুবড়ে পড়তে হল। তৃণমূল-বিজেপি দুই দলই তো কথায় কথায় বলেই চলেছে, খাতায় কলমে সিপিএম শূন্য! যদিও শেষ বিধানসভা হোক বা লোকসভার ফলও তাই বলছে আসলে। কিন্তু, সেই সিপিএমেই হোলটাইমার হওয়ার জন্য নাকি প্রচুর আবেদন জমা পড়ছে।

কী বলছেন বিমান? 

আবেদনকারীদের সিংহভাগই তরুণ প্রজন্মের। তাহলে তরুণের স্বপ্ন সিপিএম? এটাই এখন জ্বলন্ত প্রশ্ন বঙ্গ রাজননীতির আঙিনায়। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলছেন, “ইতিহাসে দেখা গিয়েছে এক একটা সময় আসে যখন অনেকে কমপ্লিট ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করতে চায়। পার্টির ভাল-মন্দের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। পার্টি হোলটাইমার হতে চায়। তারা পার্টির কাজের জন্য যে সময় দিচ্ছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। সে কারণে অনেকেই চায় হোলটাইমার হতে।” 

এসএফআই নেত্রী দিপ্সিতা ধর বলছেন, “২০১১ সালে যারা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিল তাঁরা এখন বুঝছে বামপন্থীরাই একমাত্র বিকল্প। আমাদের সর্বভারতীয় জাঠা যা জতীয় শিক্ষানীতির বিরোধি ছিল, কিংবা ইনসাফ সভায় বারবার আমরা ছাত্র যুবদের কথা বলেছি। কর্মসংস্থান বা শিক্ষা, হকের লড়াই একমাত্র লড়ে বামপন্থীরাই। ছাত্র-যুবদের কাছে দুটো অপশন। এক, তৃণমূল-বিজেপি করে চুরি ডাকাতি করে জেলে গিয়ে হাত পাকাও। দুই, সততার সঙ্গে বামপন্থায় হকের লড়াই লড়ে নাও। ছাত্র যুবরা দ্বিতীয়টাই বেছে নিচ্ছে।” 

কিন্তু হোলটাইমার কাহারে কয়? দলের সর্বক্ষণের কর্মী, অন্য উপার্জনের পথ ছেড়ে দলীয় কাজেই ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকেন। আর কোন পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়? সূত্রের খবর, বিভিন্ন গণ সংগঠনে কর্মরতদের প্রস্তাব দেয় পার্টি। আবার কখনও কর্মীরাও আবেদন জানান পার্টিকে।

কী ভাবছে বঙ্গ সিপিএম? 

আবেদন তো প্রচুর। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথে নামার সাথীও প্রচুর। কিন্তু, তরুণ কমরেডদের নিয়ে কী ভাবছে বঙ্গ সিপিএম? সূত্রের খবর, সেখানেও তো এক পা এগিয়ে দু’পা পিছিয়ে দল। কারণ, ভাঁড়ে মা ভবানী। মানে, আর্থিক সঙ্কট। দেখুন, কলকাতায় শেষবার হোলটাইমার নিয়োগ হয়েছিল ২০১৬ সালে। আর উত্তর চব্বিশ পরগনায় প্রায় দশ বছর আগে। সূত্রের খবর, তবে উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্কটের সঙ্গেই ছিল দলের কোন্দল। সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে হাওড়া একাধিক জেলা থেকে বহু আবেদন পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে  কলকাতায় ৭০-৭৫টি। উত্তর ২৪ পরগনা ১১০-১২০। হাওড়ায় ৫৫-৬৫। হুগলিতে ৭০ এর আশেপাশে। পূর্ব মেদিনীপুর ৫০ এর বেশি। 

তবে আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে ধীরে ধীরে নেওয়া হবে হোলটাইমার। তাহলে, শুভস্য শীঘ্রম? বঙ্গের রাজনীতিতে সিপিএমে বান ডাকছে? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলছেন, “গোটা বিশ্ব জুড়ে বারো বছরে মানুষের রুটি রুজির সংকট আরও বেড়েছে। দেশও তার বাইরে নয়। নতুন করে তরুণ প্রজন্ম রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। গত দশ বছর আগে যে পরিমাণে তরুণরা রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন তার তুলনায় এখন বেড়েছে। তবে হয়তো তা এখনই ভোটে ট্রান্সফার করছে না। তবে বামেদের প্রতি ইন্টারেস্ট বেড়েছে। তাতে সন্দেহ নেই। তবে এর সঙ্গে ক্ষমতায় থাকা বা না থাকা নয়। একটা ক্রাই চলছে। যখন সেই ক্রাইসিস চলে। সেই সময় তরুণ প্রজন্ম কমিউনিস্ট দের প্রতি ঝুঁকে থাকে। তার অঙ্গ হিসাবে এই সর্বক্ষণের কর্মী হওয়ার দিকে ঝুঁকছে। আমাদের মতাদর্শ যে সঠিক পথেই আছে। আমাদের মতাদর্শ শক্তি দৃঢ়তা প্রমাণ করে।”