AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সবুজ জার্সিতে ফের ‘খেলা’ শুরু মুকুলের, রাতেই এক ঝাঁক বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের ফোন

গেরুয়া শিবিরের কমপক্ষে জনা ১০ বিধায়ক এবং এক সাংসদের কাছে ফোন গিয়েছে বলে খবর। যাদের মধ্যে কেউ কেউ দলকে সেটা জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ আবার মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন।

সবুজ জার্সিতে ফের 'খেলা' শুরু মুকুলের, রাতেই এক ঝাঁক বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের ফোন
ছবি- পিটিআই
| Updated on: Jun 12, 2021 | 5:57 PM
Share

কলকাতা: বিজেপিতে ৩ বছর ৯ মাস কাটিয়ে শুক্রবার বারবেলায় তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। আর পুরনো দলে ফিরেই ‘খেলা’ শুরু করে দিয়েছেন। যেই ‘কাজ’টা বিজেপিতে যাওয়ার পর তিনি পুরোদমে করেছিলেন, সেই একই ‘কাজ’ এ বার ঘাসফুলের জার্সিতে শুরু করেছেন মুকুল। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত থেকেই বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের কাছে মুকুল রায়ের ফোন যাওয়া শুরু হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের কমপক্ষে জনা ১০ বিধায়ক এবং এক সাংসদের কাছে ফোন গিয়েছে বলে খবর। যাদের মধ্যে কেউ কেউ দলকে সেটা জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ আবার মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন।

সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতেই উত্তরবঙ্গের এক তরুণ বিজেপি সাংসদকে ফোন করেন মুকুল। ফোন পাওয়া সাংসদও একদা তৃণমূলেই ছিলেন। এ বাদেও ফোন পান বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। ফোন পাওয়া বিধায়কদের সংখ্যাটা ১০ বা তার বেশিই বলে জানাচ্ছে বিজেপি সূত্র। যাঁরা ফোন পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সোজাসুজি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন বিষয়টি। অভিযোগের সুরে জানান, মুকুল রায় দল ভাঙানোর চেষ্টা করছেন। তবে বিজেপি সূত্র এমনটাও জানাচ্ছে, অনেক বিধায়ক আবার ফোন পেলেও মুখ খোলেলনি।

এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি অনেকে এখনও জল মাপছেন? বর্তমানে বিজেপিতে থাকা ৭৪ জন বিধায়কের মধ্যে আরও কেউ কেউ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন? খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শুক্রবার বলেছেন যে “আরও অনেকে আসবে”, তখন এমন সম্ভবনা উড়িয়ে দিতে পারছে না গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শনিবার বিকেলে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। পদ্মশিবিরে থাকা নেতাদের কাছে মুকুল রায়ের ফোন যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কেউ তো গরু-ছাগল তো নয় যে বেঁধে রাখব। উনি একটা দলে ছিলেন। সেখানকার পূর্ব পরিচিতদের ফোন করতেই পারেন। আমরা নিশ্চিত, যারা আসলেই বিজেপি তাঁরা কেউই দল ছাড়বে না। আর যারা আয়ারাম-গয়ারাম, তাঁদের নিয়ে কোনও ভাবনা নেই।”

আরও পড়ুন: ‘অশুভ লোক’ সব্যসাচীকে ফেরাবে না তৃণমূল, ‘বিশ্বাস’ করেন সুজিত

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে প্রথমবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তাঁর দল পরিবর্তনের পর থেকে পরবর্তী দু-তিন বছর যেন দল বদলের মেলা শুরু হয়েছিল বিজেপিতে। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে নাম লেখানোর হিড়িক এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে জেলায় জেলায় ‘যোগদান মেলা’ শুরু করে বিজেপি। উনিশের লোকসভা ভোটে দলবদলের কিছুটা লাভ বিজেপি পেলেও একুশে তা ফ্লপ হয়ে যায়। এ বার মুকুলের ‘ঘর ওয়াপসির’ পর সেই বিপরীতমুখী ট্রেন্ড কি দেখা যাবে রাজ্য রাজনীতিতে? অপেক্ষা কেবল সময়ের।

আরও পড়ুন: জল্পনা বাড়িয়ে কুণালের বাড়িতে হাজির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়