জল্পনা বাড়িয়ে কুণালের বাড়িতে হাজির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

মুকুলের (Mukul Roy) পথেই কী প্রত্যাবর্তন রাজীবের (Rajib Banerjee)? রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর গুঞ্জন।

জল্পনা বাড়িয়ে কুণালের বাড়িতে হাজির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 12, 2021 | 6:50 PM

কলকাতা: ফের রাজ্য বিজেপিতে ভাঙনের সম্ভাবনা। শুক্রবারই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। আর তার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বাড়িতে পৌঁছলেন আরও এক বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বিধানসভা ভোটের কয়েক দিন আগেই যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। কয়েক দিন আগে তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা বাড়ে। এ বার সেই জল্পনা আরও উস্কে কুণাল ঘোষের বাড়িতে হাজির হলেন তিনি।

ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই নতুন করে রাজ্যে দলবদলের হাওয়া। ফরে ‘বেসুরো’ হচ্ছেন অনেক নেতাই। সেই দলেই ছিলেন রাজীব। সম্প্রতি হেস্টিংসে বিজেপির দলীয় বৈঠকে মুকুল রায়ের মতো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা যায়নি। সে দিন থেকেই জল্পনা শুরু। এরপর ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট। সেখানে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী লেখেন, “সমালোচনা তো অনেক হল….মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে আসা সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না।” হুবহু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই তিনি লেখেন, “আমাদের সকলের উচিত রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কোভিড ও ইয়াস-এর মতো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা।” এরপর থেকেই রাজীবের মতিগতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে কি পদ্ম শিবিরে ভাল নেই রাজীবও?

এরপর শুক্রবার মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনে পরই রাজীবের ফেরার সম্ভাবনা দেখছিল রাজনৈতিক মহল। আর আজ শনিবার কুণালের বাড়িতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক ঘিরে জল্পনার পারদ চড়ছে ক্রমশ। এ দিন বিকেলেই কুণালের সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়িতে পৌঁছেছেন রাজীব। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়াই এসেছেন তিনি। নিজের গাড়িতেও আসেননি। সম্ভবত বৈঠকের গোপণীয়তা বজায় রাখার জন্যই এমন সাধারণভাবে এসেছেন রাজীব।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে গিয়ে ভুল করেছিলাম,’ শপথ বাক্য পড়ে অনুব্রত গড়ে তৃণমূলে যোগদান!

দলবদলু নেতাদের নিয়ে তৃণমূলের কী অবস্থান? সেই প্রশ্ন বারবার সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে দলে ফেরার আবেদন করেছেন সোনালী গুহ, সব্যসাচী দত্তকে নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। তবে শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘নরমপন্থী’দেরই দলে নেওয়া হবে। যাঁরা দল ছাড়লেও তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে অপমান করেননি তাঁদেরই ফেলা হচ্ছে এই নরমপন্থী’দের দলে। সেই যুক্তিতেই নেওয়া হয়েছে মুকুলকে। রাজীবের ক্ষেত্রেও সেই একই যুক্তি খাটবে কি না, তা সময়ই বলবে।