সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ পেতে পারেন মুকুল রায়, ভিনরাজ্যেও দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কৌশলগত পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে, সেখানে মুকুলের (Mukul Roy) অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই অনুমান।
কলকাতা: তৃণমূলে ফিরেছেন দলের পুরনো সৈনিক মুকুল রায় (Mukul Roy)। ‘ঘরের ছেলে’ বলে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে বৈঠকও সেরেছেন তিনি। সাংগঠনিক কাজে তুখোড় রাজনীতিক মুকুল রায়কে যে দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা প্রত্যাশিত ছিল। আর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল যে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তাতেও মুকুলের গুরু দায়িত্ব থাকবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হতে পারে।
এই মুহূর্তে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আর সর্বভারতীয় সধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়কে দেওয়া হতে পারে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ। এ ভাবেই সর্বভারতীয় স্তরে দলকে আরও পোক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মুকুল রায় দীর্ঘ দিন কেন্দ্রের রাজনীতিতেও যুক্ত ছিলেন। আগেও অন্যান্য রাজ্যে দলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আর দলের কৌশলগত পরিকল্পনায় তিনি যে তুখোড়, তা এক কথায় স্বীকার করে রাজনৈতিক মহল। তাই বাংলার ‘চাণক্য’কে কাজে লাগাতে তৎপর ঘাসফুল শিবির।
লোকসভাকে সামনে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয় সম্প্রতি। দায়িত্ব পেয়ে ভিন রাজ্যে দলের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার শপথও নেন ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ। এ বার সেই কাজে যুক্ত হচ্ছেন মুকুল রায়। মুকুল, অভিষেক ও প্রশান্ত কিশোর ত্রয়ীই কাজ করবেন দলকে সর্বভারতীয় স্তরে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে, কাজে লাগানো হবে প্রশান্তের স্ট্র্যাটেজি ও মুকুলের অভিজ্ঞতা। উল্লেখ্য, গত সাড়ে তিন বছর বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় দলে কাজ করে এসেছেন মুকুল রায়, তাই সেই অভিজ্ঞতাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘আমি কিছু বলিনি…’, টুইট ‘ডিলিট’ করে জল্পনা আরও বাড়ালেন প্রণব-পুত্র
গত শুক্রবার, তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। আর তার পরের দিন শনিবারই ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক হয় মুকুলের। সূত্রের খবর, কোন পথে দলের কাজ এগোবে সেই বিষয়েই আলোচনা হয় ওই দিন। মুকুলের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ দিকে, শোনা যাচ্ছে, একাধিক বিজেপি নেতাক ফোন করেছেন মুকুল রায়। মুকুলের হাত ধরে অনেকেই ফিরে পারেন তৃণমূল শিবিরে।