দল কি ছাড়ছেন? জল্পনা উড়িয়ে নিজেই টুইট করলেন মুকুল
এবার বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয় বিজেপি। জয় এনে নিজের অভিজ্ঞ রাজনৈতিক সত্ত্বা আরও একবার প্রমাণ করেন মুকুল।
কলকাতা: জয়ের পরও আড়ালে চুপ চাপ থেকে জল্পনা বাড়াচ্ছিলেন মুকুল। শুক্রবার বিধানসভায় শপথ নিয়ে বেরিয়ে সেই রহস্যই আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পোড় খাওয়া রাজনীতিক মুকুল রায় (Mukul Roy)। বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকেও গত কাল দেখা যায়নি গেরুয়া শিবিরের এই জয়ী প্রার্থীকে। বাংলার রঙ বদলের রাজনীতিতে তাঁকে নিয়ে তৎক্ষণাত চর্চা শুরু হয়ে যায়। তবে কি সুর বদলাচ্ছেন মমতার (Mamata Banerjee) পুরনো সৈনিক? শনিবার উত্তর দিলেন মুকুল নিজেই। টুইট করে জানালেন বিজেপিতেই থাকছেন তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টা ধরে রাজনৈতিক মহলে মুকুলকে নিয়ে যে জল্পনা হয়েছে, তার জেরেই সম্ভবত শনিবার নিজেই টুইট করলেন মুকুল রায়। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিজেপির সৈনিক হয়েই কাজ করব। আমার অনুরোধ সবাই সব জল্পনা বাদ দিন। আমি আমার রাজনৈতিক পথেই স্থির আছি।’
My fight would continue as a soldier of BJP to restore democracy in our state. I would request everyone to put the concoctions and conjectures to rest. I am resolute in my political path.
— Mukul Roy (@MukulR_Official) May 8, 2021
মুকুলের টুইট প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘ এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। নতুন কোনও কথা নয়। গত কাল থেকে সংবাদমাধ্যমে জল্পনা চলছিল যে, মুকুল বাবু বোধ হয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যেতে পারেন। সেটার যে কোনও ভিত্তি নেই, সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল। এবার জল্পনা স্থগিত থাকা উচিত।’
এবার বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তরে টিকিট দেওয়া হয় তাঁকে। তবে ভোট আবহে খুব বেশি মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাঁকে। নিজের মতো করে প্রচার চালিয়েছেন। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে তিনি। তারপরও তাঁর চোখে মুখে বিশেষ উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। এরই মধ্যে শুক্রবার বিধানসভায় তাঁর উপস্থিতি জল্পনা বাড়ায় কয়েকগুণ। এক সময়ের সহযোদ্ধা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিধানসভায় বাকি সময়টা চুপচাপই ছিলেন এ দিন। কেন এই নীরবতা? জিজ্ঞাসা করা হলে এ দিন মুকুল রহস্য উস্কে বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের জীবনে কোনও না কোনও কারণ থাকে।’ তারপর আবার বিজেপির পরিষদীয় বৈঠকে তাঁর না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সুর বদলের ইঙ্গিত আরও জোরালো করে।
আরও পড়ুন: ‘কমিশনের সহায়তায় কোথাও কোথাও রিগিং হয়েছে’, বিধানসভাতে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মমতা
রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয় মমতার সেই মন্তব্য নিয়েও। জনসভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘শুভেন্দুর থেকে মুকুল ভালো।’ শুক্রবারের ঘটনাক্রমে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করতে শুরু করে, আবার পুরনো ফুলেই ফিরতে চলেছেন তিনি। বিজেপিতে কী সম্মান পাচ্ছেন না? সাংসদ না হয়ে বিধায়ক হওয়াতেই ক্ষোভ? এ সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন মুকুল নিজেই। বুঝিয়ে দিলেন রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে সরে যাচ্ছেন না তিনি।