কলকাতা: পুরভোট শেষে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রবিবার। তিনি জানান, ‘টুকটাক’ কিছু ঘটনা ছাড়া ভোট ভালই হয়েছে। শান্তিতেই ভোট দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু যে নির্বাচন কমিশনের কাছে এই পুরভোট কার্যত চ্যালেঞ্জ ছিল, দিনের শেষে একটি কথাও বলল না তারা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ভোট কেমন হয়েছে? সৌরভ দাসকে বলতে শোনা যায়— যা বলার সচিব বলবেন। একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে তিনি কী মনে করছেন, ১০৮টি পুরসভার ভোটে কমিশন সফল? এ প্রশ্নেরও কোনও উত্তরই দেননি তিনি। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, এদিন একটিবারের জন্যও কমিশনকে বলতে শোনা যায়নি, ‘ভোট শান্তিপূর্ণ’।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনভর ১ হাজারের কাছাকাছি অভিযোগ পেয়েছে তারা। বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন এত কিছুর পরও মুখে কুলুপ এঁটে রইল কমিশন? তা হলে কি দিনভর সংবাদমাধ্যগুলিতে যে ছবি উঠে এসেছে, তা ভাবাচ্ছে কমিশনকে? কমিশন সূত্রে খবর, তারা মনে করছে বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে এদিনের ভোটে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ কমিশনার সৌরভ দাস দফতর থেকে বেরিয়ে যান। সে সময় একটি কথাও ভোট নিয়ে বলতে চাননি তিনি।
এরইমধ্যে সোমবার সৌরভ দাসকে রাজ্যপাল ডেকে পাঠিয়েছেন। ভোট নিয়েই আলাপ আলোচনা রয়েছে বলে টুইটে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সকাল ১০টার মধ্যে যেতে বলা হয়েছে তাঁকে। যদিও সেখানে তিনি আদৌ যাবেন কি না তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি সৌরভ দাসের কাছ থেকে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে স্ক্রুটিনি।
WB Guv:
State Election Commissioner Shri Saurab Das has been called upon to brief Guv anytime before 10 am tomorrow in view of alarmingly disturbing inputs, depicting scenario of violence and lawlessness, with administration in partisan mode and systemic failure #SEC pic.twitter.com/zmCBNCLyD4
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 27, 2022
১০৮টি পুরসভার ভোটে দিনভর প্রচুর গোলমাল, হিংসার অভিযোগ উঠেছে। মহিলা প্রার্থী থেকে পুলিশ কিংবা সংবাদকর্মী, রাজনৈতিক হিংসার হাত থেকে বাদ যাননি কেউই। প্রায় হাজারখানেকের অভিযোগের ভিত্তিকে ৫১ জনকে আটক বা গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৭৬০০-র মধ্যে ৮২টি ইভিএম বদলি করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
সোমবার বামেরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে অবস্থান বিক্ষোভ করবে। ভোটকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে এমনই দাবি সিপিএম-সহ বাম শরিকদলগুলির। দুপুর ২টোয় এই প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে। অন্যদিকে এদিনই আবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সোচ্চার তারাও।
আরও পড়ুন: Municipal Elections 2022: জোর করে বনধ করলে রেয়াত নয়, সাংবাদিক সম্মেলনেই সুর চড়া ডিজির
আরও পড়ুন: Municipality Elections 2022: ‘গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে’, নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের