
কলকাতা: নতুন সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিনই প্রাক্তনকে নিশানা? নাম না করে সুকান্ত মজুমদারকে টার্গেট করলেন দিলীপ ঘোষ? স্পষ্ট বললেন, “যখন মনে হয়েছে পার্টি গুরুত্ব দিচ্ছে তখন সরে গিয়েছি। ২০২১ সাল থেকে গুরুত্ব কমানো শুরু হয়েছে। আমার সময়ে কেউ বলতে পারবেন না বঞ্চিত হয়েছেন। এবার দলের পরিবেশ পজেটিভ হবে।” এদিন দিল্লি যাওয়ার পথে এমনই মন্তব্য করেছেন দিলীপ। তাতেই বেড়েছে চাপানউতোর।
এদিন সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন দিলীপ। সেখানেই বলেন, “পুরনোদের গুরুত্ব সবসময়ই থাকবে। রাখা উচিত। কারণ তাঁরা রক্ত-ঘাম দিয়ে পার্টি দাঁড় করিয়েছে। অনেক ত্যাগ করেছে।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “পার্টি যখন ক্ষমতার কাছাকাছি আসে তখন বহু লোক এসে যায়। সবাই আদর্শ নিয়ে আসে এমনটা নয়। বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে আসে। পরিবেশটা পজেটিভ তৈরি করতে হবে। আমার মনে হয় সেটা হয়ে যাবে এবার। আমি ধীরে ধীরে নতুনদের জায়গায় দিয়ে পুরনোদের সঙ্গে আছি। আমাকে ডাকা হয়েছে আমি গিয়েছি। আবার যখন ডাকা হবে যাব। না হলে দূর থেকে পার্টির সেবা করব।”
তবে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূল। একসময় বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলছেন, “আদি-নব্যর সংঘাত আছে বলেই এখন ওরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। একুশের নির্বাচনের পর দিলীপকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে যেভাবে সুকান্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই দিলীপ ঘোষকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তাঁকে তো রাজ্য অফিস, মিটিং কোথাও ডাকা হতো না।”