AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

National Medical Commission: হাসপাতালে না এসে নার্সিংহোম-চেম্বারে সময়? সোজা কোপ পড়বে চিকিৎসকদের বেতনে

National Medical Commission: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, "জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের অধীনে আমরা সবাই। আমাদের বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স ওরা অনলাইনে দেখতে পায়। ভিডিয়ো কনফারেন্সে এনএমসি জানিয়েছে, আপনাদের যদি ১৫০-১৮০ জন চিকিৎসক থাকেন, তার মধ্যে যদি ৭০ জন আসেন, তাহলে কে অপারেশন করবেন আর কে রোগী দেখবেন?"

National Medical Commission: হাসপাতালে না এসে নার্সিংহোম-চেম্বারে সময়? সোজা কোপ পড়বে চিকিৎসকদের বেতনে
প্রতীকী ছবিImage Credit: Meta AI
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2025 | 10:02 AM
Share

কলকাতা: হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনেক সময়ই দেখা যায় না। তাঁরা ব্যস্ত থাকেন চেম্বার কিংবা নার্সিংহোমে। এক শ্রেণির চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ। এবার হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (NMC)। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের হাজিরায় কড়া নির্দেশ দিল এনএমসি। নিয়ম মেনে ছুটি না নিয়ে ৭৫ শতাংশের কম হাজিরা হলেই কোপ পড়বে চিকিৎসকদের বেতনে।

গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার উপস্থিতিতে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের কর্তারা। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি নিয়ে বৈঠকে এনএমসি কর্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। হাসপাতালে চিকিৎসকদের ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলেন। যথাযথ নিয়ম না মেনে ছুটি নিয়ে কোনও চিকিৎসকের হাসপাতালে ৭৫ শতাংশের কম উপস্থিতি হলে বেতন কাটার কথা বলেন।

এনএমসি-র সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠকের পরই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনও আবেদন না জানিয়ে ছুটি নিলে, চিকিৎসকের উপস্থিতি ৭৫ শতাংশের কম হলেই বেতন কাটা যাবে।

এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, “জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের অধীনে আমরা সবাই। আমাদের বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স ওরা অনলাইনে দেখতে পায়। ভিডিয়ো কনফারেন্সে এনএমসি জানিয়েছে, আপনাদের যদি ১৫০-১৮০ জন চিকিৎসক থাকেন, তার মধ্যে যদি ৭০ জন আসেন, তাহলে কে অপারেশন করবেন আর কে রোগী দেখবেন? তাই চিকিৎসকদের ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলেছেন। ওরা আর সশরীরে হাসপাতালের পরিকাঠামো দেখতে আসবেন না। আমরা যদি নতুন কোনও বিভাগ চালু করি, এমবিবিএসে আসন বাড়াই, সেই সুবিধা দেওয়ার আগে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলেছেন।” তবে তিনি মেনে নেন, “হাসপাতালে সময় দেন না, এমনকি হাসপাতালে এসেও বেরিয়ে যান, এমন চিকিৎসক রয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “পড়ুয়াদের যেমন আমরা পড়াই। তেমনই রোগীদেরও আমাদের দেখতে হয়। দুটি দিকই সামাল দিতে হয়। ফলে না জানিয়ে চিকিৎসকরা হাসপাতালে না এলে অসুবিধা হয়। আমাদের ১৪৮ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তার মধ্যে খুব বেশি হলে ৪০ জন বহরমপুরের। বাকিরা বাইরের।” তবে তিনি জানান, প্রয়োজনে চিকিৎসকরা অবশ্যই ছুটি নেবেন। কিন্তু, সেটা জানিয়ে নিতে হবে। এবং তার জন্য আবেদন করতে হবে।