ISF MLA Naushad Siddiqui: বৃষ্টিতে পাকা ধানে মই, আলু চাষেরও দফারফা, ক্ষতিপূরণের দাবিতে মমতাকে চিঠি নওশাদের
ISF MLA Naushad Siddiqui: নওশাদের দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে গড়িয়েছে তাতে সরকারের উচিত চাষিদের পাশে থাকা। এ প্রসঙ্গে বলছেন, “অকাল বর্ষার জন্য রাজ্যে বহু কৃষক সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা বিপুল সমস্যার মুখে পড়েছেন। এই অবস্থায় সরকারের উচিত ওইসব কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো।”

কলকাতা: কথা ছিল হালকা বৃষ্টির। কিন্তু, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত একাধিক জেলায় দেখা গেল ভারী বৃষ্টি। ভিজল কলকাতাও। এদিকে চলছে আলু চাষের ভরা মরসুম। সঙ্গে চলছে মরসুমি ফসলের চাষ। কিন্তু, অকাল বৃষ্টিতেই সব দফারফা। মাথায় হাত আলু চাষিদের। এদিকে ইতিমধ্যেই আবার হুগলি, বর্ধমানের বিস্তৃর্ণ এলাকায় অনেক জমিতেই আলু বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন ভারী বৃষ্টির জেরে জমিতে জমেছে জল। তৈরি হয়েছে আলু বীজে পচনের সম্ভাবনা। তাতেই মাথায় হাত কৃষকদের। একইসঙ্গে চলছে ধান তোলার কাজও। অকাল বৃষ্টির জেরে যেন পাকা ধানে মই পড়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় এবার অকাল বর্ষণের জেরে চাষিদের সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন নওশাদ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তুললেন আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিও। আলাদা করে বললেন ভাঙড়ের কথাও।
মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে নওশাদ লিখছেন, আপনি অনুধাবন করতে পারছেন যে অকালে অতিবর্ষণের ফলে ভাঙড় সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ধান ও সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষত এই সময় মাঠ থেকে ধান উঠছে। অতএব, আপনার কাছে আমার বিনীত আবেদন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
নওশাদের দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে গড়িয়েছে তাতে সরকারের উচিত চাষিদের পাশে থাকা। এ প্রসঙ্গে বলছেন, “অকাল বর্ষার জন্য রাজ্যে বহু কৃষক সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা বিপুল সমস্যার মুখে পড়েছেন। এই অবস্থায় সরকারের উচিত ওইসব কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো। আর্থিকভাবে কৃষকদের পাশে না দাঁড়ানো গেলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা। আমি দাবি করছি অবিলম্বে ওই কৃষকদের পাশে দাড়াক সরকার। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। সেই দাবি করেই চিঠি দিয়েছি।”
