কলকাতার ডার্বির টিকিট কালোবাজারি নিয়ে সরব নওশাদ

প্রসঙ্গত রবিবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ডার্বি ম্যাচ ঘিরে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। ডার্বি ম্যাচ মানেই তিল ধারণের জায়গা থাকে না গ্যালারিতে। কিন্তু রবিবার ম্যাচ শুরুর পরও গ্যালারির অনেক অংশ খালি থাকতে দেখা গিয়েছে।

কলকাতার ডার্বির টিকিট কালোবাজারি নিয়ে সরব নওশাদ
নওশাদ সিদ্দিকিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2023 | 5:39 PM

কলকাতা: ২০২৩ সালের ডুরান্ড কাপের ফাইনালে কলকাতা ডার্বি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। রবিবার দুপুরের সেই পোস্টে কলকাতা ডার্বির টিকিট কালোবাজারি অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তিনি। টিকিট নিয়ে কালোবাজারির পাশাপাশি ডার্বি নিয়ে নিজের আবেগের কথাও গোপন করেননি ভাঙড়ের বিধায়ক। ইস্টবেঙ্গল না মোহনবাগান? জে জিতবে ডার্বিতে? এ নিয়ে নওশাদ লিখেছেন, “মাথা বলছে মোহনবাগান জিতবে, হৃদয় বলছে ইস্টবেঙ্গল জিতবে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান এই দুই দলের খেলোয়াড়, কোচ, সমর্থকদের আমার তরফ থেকে অফুরন্ত শুভেচ্ছা রইল। এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে যেই জিতুক না কেন ডুরান্ড কাপ বাংলা পাচ্ছে।”

কলকাতা ডার্বি ঘিরে ফুটবলার লড়াই ছাডিয়ে অতীতে একাধিকবার মাঠের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়াতে দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ফুটবলারদের। এই সব ঘটনার রেশ গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে নওশাদ লিখেছেন, “আমি আশা করব এবং আশা রাখি ৯০ মিনিটের সৌজন্যতা মাঠের ভিতর এবং মাঠের বাইরে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে বজায় থাকবে‌।” ডার্বি ঘিরে নিজের আবেগ ব্যক্তের পাশাপাশি টিকিটের কালোবাজারি নিয়েও সরব নওশাদ। তিনি লিখেছেন, “ডুরান্ড ফাইনালে টিকিট নিয়ে যেভাবে কালোবাজারি হল আমি ক্রীড়াপ্রেমী হিসাবে ব্যাথিত। আমি আশা করব আগামী দিনে টিকিট নিয়ে এই ধরনের কোনও কালোবাজারি হবে না। সে ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং টুর্নামেন্ট অর্গানাইজিং কমিটিতে যাঁরা থাকবেন তাঁরা সজাগ থাকবেন।”

প্রসঙ্গত রবিবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ডার্বি ম্যাচ ঘিরে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। ডার্বি ম্যাচ মানেই তিল ধারণের জায়গা থাকে না গ্যালারিতে। কিন্তু রবিবার ম্যাচ শুরুর পরও গ্যালারির অনেক অংশ খালি থাকতে দেখা গিয়েছে। অথচ অনেকেই এই ম্যাচের টিকিট পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। টিকিটের বিষয়টি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগার ক্লাব কর্তৃপক্ষও নিজেদের অসন্তোষ আগেই ব্যক্ত করেছেন। অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতার টিকিট অনলাইনে বিক্রি হলেও ডুরান্ডের টিকিট বিক্রি হয়েছে অফলাইনেও। তা হলে টিকিট কালোবাজারির সম্ভাবনা বাড়ে। এই বিষয়টি নিয়ে নওশাদের সরব হওয়া নিশ্চিতভাবে এই অভিযোগে অন্য মাত্রা যোগ করল।