ভোট-বাংলায় আরও শক্তিশালী করোনা, একদিনের সংক্রমণ ৩ হাজার ছুঁই ছুঁই

স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা (COVID-19) সংক্রমিত হয়েছেন ৭১৬ জন।

ভোট-বাংলায় আরও শক্তিশালী করোনা, একদিনের সংক্রমণ ৩ হাজার ছুঁই ছুঁই
ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Updated on: Apr 08, 2021 | 9:01 PM

কলকাতা: প্রতিদিনই ভয়ঙ্কর হচ্ছে ভোটের বাংলায় করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭৮৩ জন। বুধবার যে সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৩৯০। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যদফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও অবধি রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬,০২,৮০৭ জন। মৃতের সংখ্যা ১০,৩৭০ ছুঁল।

এরইমধ্যে আবার শয্যার অভাব প্রকট হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে। এক সপ্তাহ আগেও এম আর বাঙুরে ৪৪১টি বেডের মধ্যে ৩৪৩টি শয্যা খালি ছিল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলের মধ্যে খালি বেডের সংখ্যা কমতে কমতে দাঁড়িয়েছে ৬৬। এক সপ্তাহ আগে সিএনসিআইয়ে ১৫০ বেডের মধ্যে ১৩৫টি খালি ছিল। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২। আমরি সল্টলেকে কোন‌ও শয্যাই নেই। এক‌ই ছবি পিয়ারলেস, সিএম‌আর‌আইয়ে।

স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পরে মেডিকা এবং বেলভিউ করোনা বেডের সংখ্যা বাড়িয়েছে। কিন্তু ৬১ থেকে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ৯৮ করার পর‌ স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যার পরে মেডিকায় আর চারটি বেড খালি রয়েছে। বেলভিউ ৩৩ থেকে বাড়িয়ে শয্যাসংখ্যা ৯৩ করেছে। সেখানে খালি বেডের সংখ্যা মাত্র ১৮! মঙ্গলবারই নবান্নের তরফে হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড মোকাবিলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। অর্থাৎ পরিস্থিতি যে ক্রমেই ঘোরাল হচ্ছে সে আঁচ পেয়েছে নবান্নও। করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, এ কথা স্বীকার করে কলকাতার প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে রোগীরা যাতে বেড-সহ সবরকমের পরিষেবা পান, সে জন্য হাসপাতাল পিছু অফিসার নিয়োগ করেছে স্বাস্থ্য ভবন।

আরও পড়ুন: করোনাকালে বড় ঘোষণা নবান্নের! সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশের বেশি হাজিরা নয়!

স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৭১৬ জন। একদিনের সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে ৫৯৫ জন। হাওড়ায় এই সংখ্যাটা ২২১। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১৬৭ জন। এরপরই হুগলিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১৫৭ জন। মৃত সাতজনের মধ্যে কলকাতার তিনজন রয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় রয়েছেন একজন, পূর্ব বর্ধমানে রয়েছেন একজন, পুরুলিয়ায় একজন, মালদহে একজন।