Lashkar-e-Taiba: বাদুড়িয়ার তানিয়ার সঙ্গে আলাপ হয় পাকিস্তানি জঙ্গি বিলালের, দু’জনে মিলেই করত ‘মগজ ধোলাই’
Tania Parvin: গত বছর মার্চ মাসে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় কলেজ ছাত্রী তানিয়াকে। লস্কর জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স।
কলকাতা: যত দিন এগোচ্ছে, ততই তানিয়া পারভিনের (Tania Parvin) মামলায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার সেই মামলায় উঠে এল আরও এক পাকিস্তানির নাম। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট (Charge Sheet) জমা দিয়েছে এনআইএ (NIA)। আর সেখানেই রয়েছে পাকিস্তানি (Pakistani) জঙ্গি বিলাল দুরানির (Bilal Durani) নাম। বিলাল পাকিস্তানের লাহোরের (Lahore) বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বিলাল ছাড়াও এই চার্জশিটে কাশ্মীরের (Kashmir) বাসিন্দা আলতাফ আহমেদের নাম রয়েছে। লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-Taiba) সক্রিয় সদস্য হিসেবে উঠে এসেছিল বাদুড়িয়ার (Baduria) কলেজ ছাত্রী তানিয়া পারভিনের নাম।
এ দিন, বিচার ভবনে বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয় এনআইএ-র তরফে। চার্জশিটে এনআইএ জানিয়েছে, তানিয়া পারভিনকে পাকিস্তানের বিলালের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় কাশ্মীরের বাসিন্দা আলতাফ আহমেদ। এরপর তারা একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ খোলে। আর সে সব গ্রুপে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্রয় দেওয়ার কথা বলা হয়। জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করে মগজ ধোলাই -এর কাজও করত তারা। এমনই প্রমাণ পেয়েছেন গোয়ান্দারা।
এর আগেও তানিয়ার পাকিস্তান যোগের প্রমাণ মিলেছিল। চার্জশিটে এক পাকিস্তানির নাম উল্লেখ করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। আয়েশা বুরহান নামে এক পাকিস্তানির নাম ছিল, যে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয়দের লস্করের কাজে লাগানোই তার উদ্দেশ্য ছিল।
গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, লস্কর-ই-তইবার এই মডিউলের মাথা ছিল সদ্য কাশ্মীর থেকে গ্রেফতা হওয়া অঙ্কের শিক্ষক আলতাফ আহমেদ। পাকিস্তানের আয়েশাই আলতাফকে নিয়োগ করেছিল। তারপর আলতাফ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তানিয়াকে লস্করের কাঝে নিয়োগ করে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের হানি ট্র্যাপে ফেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করাই ছিল তানিয়য়ার কাজ। গোয়েন্দা সূত্রের জানা গিয়েছে, সেই তথ্য পাঠানো হতোৱ পাকিস্থানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর কাছে। অসংখ্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ চলত।
আরও পড়ুন: BJP: মোদী নেতৃত্বাধীন জাতীয় কার্যনিবাহী কমিটিতে বাংলার ৬ নাম, রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীও!
বাদুড়িয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কলেজ ছাত্রী তানিয়াকে। লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে তা যোগ থাকার প্রমাণ উঠে এসেছিল আগেই। তাকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। পরে জঙ্গিযোগের প্রমাণ সামনে আসতেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে উঠে আসে, পাকিস্তান থেকে নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ কলে তানিয়াকে নির্দেশ দিত পাক জঙ্গিরা। আর সেই মতো দেশের নানা উচ্চপদস্থ সেনা ও নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে গোপন তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করত সে।
আরও পড়ুন: Covid Surge: লাফ দিয়ে দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছতে পারে ৫ লক্ষে! প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র