কলকাতা: প্রাক্তন মাও নেতা ছত্রধর মাহাতোর (Chatradhar Mahato) বিরুদ্ধে অবশেষে চার্জশিট দিল এনআইএ (NIA)। সূত্রের খবর, রাজধানী এক্সপ্রেস (Rajdhani Express) আটকে রেখে রেলকর্মী ও যাত্রীদের পণবন্দি করার মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার চার্জশিট জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এনআইএ বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে।
এনআইএ সূত্রে খবর, মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে এনআইএ। চার্জশিটে নাম রয়েছে ছত্রধর মাহাতোর। পাশাপাশি মাও নেতা কিষেণজি এবং ছত্রধরের আত্মীয় শশধর মাহাতোরও নাম রয়েছে চার্জশিটে। এদের মধ্যে ছত্রধর মাহাতোকেই মূলচক্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এনআইএ সূত্র জানাচ্ছে, নিজেকে কারা-মুক্ত করার জন্য জেলে বসেই ছত্রধর রাজধানীর যাত্রীদের পণবন্দি করার ছক কষেছিল। এরপর মাওবাদী ও গ্রামবাসীদের সাহায্য নিয়ে জনসাধারণ কমিটি এই কাজ করে। এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছে এনআইএ-র চার্জশিটে।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের কয়েকমাস আগেই ছত্রধরকে মুক্তি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু গত ২৭ মার্চ জঙ্গলমহলে ভোট মেটার পরেরদিনই ভোর রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে ছত্রধরকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সেই গ্রেফতারির ১৮০ দিনেই মাথায় এই চার্জশিট জমা দেওয়া হল এনআইএ-র পক্ষ থেকে। মোট ৫০ পাতার এই চার্জশিট আজই জমা পড়ছে। সূত্র জানাচ্ছে, ভারতী দণ্ডবিধির একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় এবং ইউএপিএ আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে ছত্রধর-সহ বাকিদের।
আরও পড়ুন: Sougata Roy: ‘কেন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল?’ দমদমে দুই বালিকার মৃত্যুতে সাংসদের মন্তব্যে বিতর্ক
গত ২৮ মার্চ হওয়া এই গ্রেফতারিকে অবশ্য রাজনৈতিক বলেই আখ্যা দিয়েছে মাহাতো পরিবার। এই মামলায় মাঝে গৃহবন্দি হওয়ার আবেদন জানিয়েও আদালতের দ্বারস্থ হন জনসাধারণ কমিটির সর্বসর্বা। কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। ২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের পণবন্দি বানানোর পাশাপাশি সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতোকে খুন করারও অভিযোগ ছিল ছত্রধরের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Bhawanipore By-Election: বড় জটিলতা ভবানীপুরের ভোট ঘিরে, কমিশনের কাছে হলফনামা চাইল আদালত