AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhawanipore By-Election: বড় জটিলতা ভবানীপুরের ভোট ঘিরে, কমিশনের কাছে হলফনামা চাইল আদালত

Bhabanipur By-Election: ভবানীপুরে ভোট না হলে 'সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে', কার দাবি? জানতে চায় আদালত।

Bhawanipore By-Election: বড় জটিলতা ভবানীপুরের ভোট ঘিরে, কমিশনের কাছে হলফনামা চাইল আদালত
অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 1:07 PM
Share

কলকাতা: মাঝে আর মাত্র ছ’দিন বাকি। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (Bhabanipur By-Election)। তার আগে নতুন করে আইনি জটিলতা তৈরি হল এই ভোট ঘিরে। কমিশনের প্রেস বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, এই ভোট না হলে সাংবিধানিক সঙ্কটের উল্লেখ করেছেন মুখ্যসচিব। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা একটি উপনির্বাচনে কী ভাবে আসল সে প্রসঙ্গে জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।

ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে যে প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়, সেখানে (বিবৃতির ছ’ নম্বর অনুচ্ছেদে) উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি কোনও ভাবেই ভোটের কেন্দ্রে প্রভাব ফেলবে না। একইসঙ্গে তিনি তুলে ধরেছেন, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারায় একজন মন্ত্রী যদি বিধানসভার সদস্য না হন তা হলে ভোটের ফল প্রকাশের ছ’মাসের মধ্যে তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যায়। সেই পদে সর্বোচ্চ পদাধিকারী নিয়োগ না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে।’

মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি দাবি করেন, ভবানীপুরে নির্বাচন এখনই না করানো হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে মুখ্যসচিবের সুপারিশের উল্লেখ নির্বাচন কমিশনকে তার প্রেস বিবৃতি থেকে বাদ দিতে হবে। মামলাকারীর এই আবেদন নির্বাচন কমিশন মানবে কি না হাইকোর্টের কাছে সে ব্যাপারে শুক্রবার হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।

মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, বেছে বেছে একটি বিধানসভার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবের চিঠি লেখা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সমান। তাই, হয় নির্বাচন কমিশনের বিবৃতির তালিকা থেকে ছ’ ও সাত নম্বর অনুচ্ছেদ বাদ দিতে হবে। অথবা হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবারের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে হবে।

কমিশন মূলত জানতে চায়, কমিশনে প্রেস বিবৃতির ছয় ও সাত নম্বর অনুচ্ছেদ কোন পরিস্থিতিতে তৈরি হল? ভবানীপুর উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট, এমনটা কে লিখল? কমিশন? নাকি মুখ্যসচিব বলেছিলেন? সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা একটি উপনির্বাচনে কীভাবে আসল? এই সমস্ত প্রশ্নের জবাবই হলফনামায় জানাবে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

সেখানে পেশায় আইনজীবী সায়ন প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন রাজ্যের মুখ্যসচিব কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের জন্যই ভোট চাইলেন? মুখ্যসচিবের কি সেই এক্তিয়ার রয়েছে? তিনি তো নির্দিষ্ট একজনকে জেতাতে চাইছেন।’ মামলাকারীর আরও অভিযোগ, কেবল মাত্র ভবানীপুর আসনে ভোটের জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী আসলে মুখ্যসচিবকে ব্যবহার করেছেন ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন চেয়ে। মুখ্যসচিব শুধু একটি কেন্দ্রের জন্য চিঠি লেখেন কমিশনকে।” কেন রাজ্যের মুখ্যসচিব একটি কেন্দ্রের জন্য ভোট চাইছেন? প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবের ওই চিঠি বাতিলের আর্জি জানিয়ে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন তারই শুনানিতে কমিশনের কাছে হলফনামা চাইল আদালত।

আরও পড়ুন: Coal Scam: কয়লাকাণ্ডে দ্বিতীয়বার ইডির সমন মলয় ঘটককে, এবারও এড়ালেন হাজিরা