Firhad Hakim on Babri Masjid: ধ্বংসের দিনে শিলান্যাস! ‘মীরজাফর’কে মনে করিয়ে ‘কালো দিন’ বললেন ফিরহাদ
Firhad Hakim on Humayun: শুধু মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা নয়, জনজোয়ার ছিল রাজ্যের শাসক শিবিরের 'সংহতি দিবসের' মঞ্চ ঘিরেও। এদিন সেই মঞ্চ থেকেই ইঙ্গিতে হুমায়ুনকে বিঁধেছেন ফিরহাদ। একদিকে স্মরণ করিয়েছেন বাবরি ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে হওয়া 'বিশ্বাসের অপমৃত্যুর'। অন্যদিকে মনে করিয়েছেন মীরজ়াফরের 'বিশ্বাসঘাতকতার' কথা।

কলকাতা: শনিবার বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে তৃণমূলের সংহতি বার্তা। মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন একের পর এক নেতা। ভাষণ দিলেন পুরমন্ত্রী তথা শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘এটা ভারতবর্ষের সবচেয়ে কালো দিন’। শহরের বুকে দাঁড়িয়ে যখন ৬ ডিসেম্বরকে ‘অন্ধকারাচ্ছন্ন’ বলে দাগালেন ফিরহাদ। সেই সময় প্রায় ১৯১ কিলোমিটার দূরে আরেক বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর করলেন ভরতপুরের নিলম্বিত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
বেলডাঙার মরাদিঘি এলাকায় বিশাল আয়োজন করে, খাওয়াদাওয়ার ব্য়বস্থা-সহ শিলান্য়াস হল এই বাংলার বাবরি মসজিদের। আবছা হওয়া অতীতকেই যেন আবার কবর খুঁড়ে তুলে আনলেন তিনি। হুমায়ুনের এই অনুষ্ঠানে অতিথির অভাব ছিল না। অভাব ছিল না উৎসুক জনতারও। দুপুর ১২টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। তার আগেই বেলডাঙার বড়ুয়া মোড় থেকে রেজিনগর পর্যন্ত জাতীয় সড়কে যান চলাচল থমকে যেতে দেখা যায়। দিনভর থিতু থাকে এই জনজোয়ার।
শুধু মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা নয়, জনজোয়ার ছিল রাজ্যের শাসক শিবিরের ‘সংহতি দিবসের’ মঞ্চ ঘিরেও। এদিন সেই মঞ্চ থেকেই ইঙ্গিতে হুমায়ুনকে বিঁধেছেন ফিরহাদ। একদিকে স্মরণ করিয়েছেন বাবরি ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে হওয়া ‘বিশ্বাসের অপমৃত্যুর’। অন্যদিকে মনে করিয়েছেন মীরজ়াফরের ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ কথা।
ফিরহাদের কথায়, ‘সেদিন শুধু বাবরি মসজিদে ধাঁচা ভাঙা হয়নি। বিজেপি একাংশের মানুষের বিশ্বাসকেও ভেঙেছে। তারপরেও আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছি। কিন্তু এরপরেও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের উপর আঘাত আনা হয়েছে। বিভেদ তৈরি করা হয়েছে।’ পুরমন্ত্রীর সংযোজন, ‘এই কাজে বিজেপিকে মদত দিচ্ছে আমাদেরই কিছু মানুষ। এদেরকেই বলা হয় গদ্দার, মীরজ়াফর। সমাজটাকে এক রাখতে হবে। পাকিস্তানের ধর্মান্ধতার জন্য পিছিয়ে পড়া রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এখন বাংলাতেও সেই সুড়সুড়ি দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ মসজিদ, মন্দির করে এটা করছেন। আমরা ঠাকুরের পথে যাব। যত মত, তত পথ।’
