কলকাতা : গত কয়েকদিন ধরে বাবার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না মেয়েরা। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখলেন, শৌচালয়ে পড়ে রয়েছে বাবার মৃতদেহ। মাথা থেঁতলানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেই দেহ। রাতেই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। ঘরের মেঝেতে রয়েছে রক্তের দাগ। খুন করা হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। হরিদেবপুর থানার জিয়াদার গোট এলাকা ঘটনা। মৃতের নাম বাপ্পা ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার রাতে বাপ্পা ভট্টাচার্য নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় তাঁর নিজের বাড়ির দোতলা থেকে। বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। তিনি একটি চা পাতা কোম্পানিতে কাজ করতেন। বিগত তিন দিন ধরে তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর মেয়ে। মঙ্গলবার পাড়া-প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন মেয়ে। বাবাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। জানা গিয়েছে ওই বাড়িতে একাই থাকতেন বাপ্পা ভট্টাচার্য। মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
দোতলার ঘরে ঢুকে দেখা যায় বিছানাপত্র থেকে শুরু করে ঘরের আসবাবপত্র লন্ডভন্ড অবস্থায় রয়েছে। ঘরের মেঝেতে অসংখ্য রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এমনকি রক্তের দাগ ছিটকে বিভিন্ন জায়গায় লেগে রয়েছে। ওই ঘরের সঙ্গেই রয়েছে একটি বাথরুম। তার ভিতরে পড়ে থাকতে দেখা যায় বাপ্পা ভট্টাচার্যের রক্তাক্ত মৃতদেহ।
দেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান মাথা থেঁতলে তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃতের মেয়ের অভিযোগ, বাড়িতে তাঁর বাবার অফিসের দু জন বন্ধুর আসার কথা ছিল। তাই ওই দুই বন্ধুর ওপরই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে তাঁর পরিবার। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডিসি সাউথ-ওয়েস্ট, হরিদেবপুর থানার পুলিশ ও হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে পরিবারের লোকজনকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন : Madan Mitra at SSKM: ‘কথা বললে কাকের মতো শব্দ বেরোচ্ছে’, এসএসকেএমে ভর্তি মদন মিত্র
আরও পড়ুন : Tathagata Roy: ‘শোনা যায় জয়প্রকাশ লাথি খাওয়ার জন্য টাকা খরচ করেছিল’, বিস্ফোরক দাবি তথাগত রায়ের