কলকাতা : তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাংগঠনিক নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ৩১ মার্চের মধ্যে সেই সাংগঠনিক নির্বাচন করতে হবে। সেই মতো ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের শাসক দলের সাংগঠনিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া। যাবতীয় করোনা বিধিনিষেধ মেনেই সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকছেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে আরও জানিয়েছেন, “পরবর্তী সময়ে যাঁরা আমাদের প্রতিনিধি, ভোটার এবং পর্যবেক্ষক হবেন, তাঁদের তালিকা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে আমি তৈরি করব। যাতে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করা যেতে পারে, তা আলোচনা করে নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া হবে আমাদের সংবিধান মেনে। আমি দলীয় স্তরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ দেব। প্রথমে নির্বাচন হবে দলের চেয়ারপার্সনের, তারপরে তৈরি হবে ওয়ার্কিং কমিটি।” উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শেষবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছিল। কখনও পাঁচ বছর, আবার কখনও তিন বছর অন্তর এই সাংগঠনিক নির্বাচন হয়ে থাকে রাজ্যের শাসক দলে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের শাসক দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবিটা আরও প্রকট হয়েছে। বিশেষ করে রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ তথা লোকসভার চিফ হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবে দলের তরুণ প্রজন্মের নেতাদের থেকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল, সেই নিয়ে জোর চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে। আর পাশাপাশি মদন মিত্রের কথাও দলকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির তরফে মদনকে সতর্কও করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে – সমস্যা থাকলে দলের অন্দরে সেই নিয়ে কথা বলতে বলা হয়েছে। এই সবের মধ্যেই ২ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন হতে চলেছে নেতাজি ইনডোরে। যদি মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই। তাঁর কথায়, “দলে কোনও বিতর্ক নেই। তৃণমূল বিতর্ক নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না। কোথাও বিতর্ক নেই।”
এর পাশাপাশি প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো বিতর্ক টেনেও মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। বলেন, “ট্যাবলো নিয়ে যেভাবে বলা হয়েছে, তা অমর্যাদাকর। গরিমা ক্ষুন্ন করা হয়েছে। সংগ্রামের ইতিহাসকে তুলে ধরার প্রয়াস থেকে বাংলাকে দূরে রাখা হচ্ছে।” একইসঙ্গে অভিষেক বিতর্কেও জল ঢালেন তিনি। বলেন, “অভিষেককে নিয়ে বিতর্ক টেনে এনে লাভ নেই। গোটা দেশের যুব মননে আলাদা করে তাঁর উপস্থিতি রয়েছে।”
আরও পড়ুন : মিশমিশে কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ, মল্লিক বাজারে সিনেমা হলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
আরও পড়ুন : ‘আমরা বাংলার প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি কৃতজ্ঞ’, ট্যাবলো বিতর্কে মমতাকে চিঠি রাজনাথের