
কলকাতা: ভয়ঙ্কর বিপর্যয় উত্তরবঙ্গে। তা নিয়ে তপ্ত হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা। চরম সংঘাতে বিজেপি-তৃণমূল। একদিন আগেই বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। নাক-মুখও ফেটে যায় খগেনের। নিয়ে যেতে হয়েছে হাসরাতালেও। ঘটনার পর থেকেই ফুঁসছে বিজেপি। এবার গর্জে উঠলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। করলেন এনআইএ তদন্তের দাবি। সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট বললেন, “কেউ যদি মনে করে থাকে কোনও সাংসদকে আক্রমণ করে, রক্তাক্ত করে, ক্ষতবিক্ষত করে বিজেপিকে ভয় দেখানো যাবে তাহলে ভুল করছেন। যাঁরা গতকাল এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাঁরা পাতালেও যদি ঢুকে থাকেন তাহলে আমাদের সরকার তাঁদের আইনি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টেনে বের করবে।”
কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে শমীককে বলতে শোনা যায়, “যাঁরা এ নিয়ে নানা ধরনের বিবৃতি দিচ্ছেন তাঁরাও মনে রাখবেন দিন একরকম যায় না। আমরা কোনও ধরনের হিংসায় বিশ্বাস করি না।” তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেও একের পর এক তোপ দাগতে থাকেন তিনি। কটাক্ষের সুরেই শমীকের দাবি এটা ‘তৃণমূল মেড বন্যা’। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, “জলপাইগুড়িতে ১ হাজারের বেশি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কোচবিহারের মতো শহরের মানুষও মনে করতে পারছেন তাঁরা তাঁদের ওয়ার্ডগুলিতে শেষবার কবে এত জল দেখেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কুকর্মের ফলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলছেন এটা ম্যান মেড বন্যা। এটা তৃণমূল মেড বন্যা।”
শমীকের দাবি তাঁদের দলের পক্ষ থেকে বিধায়করা বারবার উত্তরবঙ্গের সেচ ব্যবস্থার উন্নতির কথা বলা হলেও তা করা হয়নি। তিনি বলছেন, “আমাদের দলের পক্ষ থেকে মনোজ ওরাও এবং দীপক বর্মণ বারবার উত্তরবঙ্গের সেচ ব্যবস্থা, জল নিকাশি ব্যবস্থা, বাঁধ নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তুলেছেন, পরিবর্তন যে দরকার তাও বলেছেন। কিন্তু এই সরকারটা খেলা-মেলা-মোচ্ছবের সরকার, এই সরকার কার্নিভালের সরকার, এই সরকার ফেসিয়ালের সরকার। এই সরকার কোনও মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারেনি।”