Partha Chatterjee: ‘অনুব্রত আমার থেকে বেশি ক্ষমতাবান’, হাইকোর্টে সওয়াল পার্থর
Anubrata Mondal: পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ একাধিক অভিযুক্তের জামিনের মামলা চলছে হাইকোর্টে। সেই মামলায় এদিন সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে হাইকোর্টে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় কার্যত ক্ষুব্ধ আদালত।
কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। গ্রেফতার হওয়ার সময় তিনি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। আর অনুব্রত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তিহাড় জেল থেকে মুক্ত হয়েছেন অনুব্রত, বীরভূমে ক্রমশ স্বমহিমায় ফিরছেন তিনি। তবে এখনও প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। কলকাতা হাইকোর্টে চলছে তাঁর জামিনের মামলা। সেই মামলাতেই উঠল অনুব্রতর প্রসঙ্গ।
জামিনে মুক্ত হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবার পুরনো পদে পুনর্বহাল হবেন না তো? এমন প্রশ্নই উঠেছে আদালতে। সেখানে সওয়াল করতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘২ বছরের ওপর হেফাজতে। মনে হয় না যে এখন তাঁর সমর্থনে আর একজনকেও পাওয়া যাবে।’
শুক্রবার শুনানিতে বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় বলেন, “হতে পারে জামিন পাওয়ার পর আবার পুনর্বহাল করা হবে। সাম্প্রতিক উদাহরণ তো আমরা বীরভূমেই দেখতে পাচ্ছি।” এ কথা শুনেই পার্থর সওয়াল, “না না, অনুব্রত মণ্ডল আমার থেকে বেশি ক্ষমতাবান।” এরপরও বিচারপতি সিনহা রায় বলেন, “তাও পুনর্বহালের সম্ভাবনা তো থেকেই যায়।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ একাধিক অভিযুক্তের জামিনের মামলা চলছে হাইকোর্টে। সেই মামলায় এদিন সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে হাইকোর্টে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় কার্যত ক্ষুব্ধ আদালত। বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় বলেন, “আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না সিবিআই।”
বৃহস্পতিবারই নিজেদের বক্তব্যের লিখিত আকারে জমা দেওয়ার কথা ছিল সিবিআই-এর। তবে তা দেওয়া হয়নি, আরও বাড়তি সময় চেয়েছে সিবিআই। তার প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য। আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত লিখিত আকারে বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।