AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সিরোসিসে আক্রান্ত শোভন, মদনের ফুসফুসে কোভিডের ক্ষত

গত সোমবার নারদ মামলায় (Narada Case) গ্রেফতার করা হয় চার নেতাকে। গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা প্রত্যেকেই। তিনজনের চিকিৎসা চলছে এসএসকেএমে (SSKM)।

সিরোসিসে আক্রান্ত শোভন, মদনের ফুসফুসে কোভিডের ক্ষত
এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন দুই নেতা
| Updated on: May 21, 2021 | 3:11 PM
Share

কলকাতা: নারদ-কাণ্ডে (Narada Case) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিযুক্ত চার নেতা। একাধিক শারীরিক সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মানসিক উদ্বেগ। আর তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নেতারা। প্রত্যেকদিন নিয়ম মাফিক চলছে পরীক্ষা-নিরিক্ষা। পরীক্ষা করে ধরা পড়েছে, সিরোসিস অফ লিভারে আক্রান্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। অন্য দিকে, কোভিড সারলেও ক্ষত থেকে গিয়েছে মদন মিত্রের ফুসফুসে পরীক্ষার পর শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গত কাল ইউএসজি করে দেখা গিয়েছে শোভন লিভারের সিরোসিসে আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এটা দীর্ঘদিনের রোগ। সেই সমস্যাই আবার বেড়েছে। তার জুন্য শুরু হয়েছে চিকিৎসা। অন্য দিকে, মদন মিত্রের বুকে রয়েছে সংক্রমণ। সদ্য কোভিড সারিয়ে উঠেছেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন আগে এই এসএসকেএমেই ভর্তি ছিলেন মদন মিত্র। কিন্তু করোনা সেরে গেলেও অনেক সময় ক্ষত থেকে যায়। কামারহাটির বিধায়কের ক্ষেত্রেও এটাই হয়েছে। পরীক্ষা করে দিয়ে দেখা গিয়েছে তাঁর ফুসফুসে রয়েছে কোভিডের প্যাচ।

তিন নেতারই সিওপিডি রয়েছে। তাই প্রতিনিয়ত তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ড সব পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে। শ্বাসকষ্ট কমাতে মদনকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। সিওপিডি-র সমস্যা কমাতে সুব্রত ও শোভনকে দেওয়া হচ্ছে নেবুলাইজার।

আরও পড়ুন: ‘মমতার জন্যই ভবানীপুর ছাড়লাম’, পদত্যাগ বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের

অন্য দিকে,  শুক্রবার  মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের কাছে নিজের গলার সমস্যার কথা জানিয়েছেন সুব্রত। তাঁর একটানা কথা বলতে অসুবিধা হয়। এই সমস্যা অনেক দিনের বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই সমস্যা চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব কিনা, তাই মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি।