School Reopening: ‘কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই’ স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

PIL at Calcutta High Court: মামলায় আবেদন করা হয়েছে, স্কুল চালু করার আগে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি করা হোক। সেই কমিটি সময় কমিয়ে কীভাবে স্কুল চালু রাখা যায়, তার একটি সুপারিশ করুক।

School Reopening: 'কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই' স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগ মামলা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 4:47 PM

কলকাতা: কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই রাজ্যে নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। আজ এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে জন স্বার্থ মামলা দায়ের হল। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ন’টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস হওয়ার কথা রয়েছে। দশম শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হওয়ার কথা রয়েছে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত। করোনা বিধি মেনেই প্রতিদিন স্কুল চালু রাখার কথা বলা হয়েছে।

অথচ, এই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের কারও এখনও কোনও ভ্যাকসিনেশন হয়নি। এতে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা আরও অনেকটা বেড়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। এর ফলে পড়ুয়াদের জন্য ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, এই আশঙ্কায় আজ কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী। তাঁর আবেদন, স্কুল চালু করার আগে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি করা হোক। সেই কমিটি সময় কমিয়ে কীভাবে স্কুল চালু রাখা যায়, তার একটি সুপারিশ করুক।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, কালীপুজো, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজো শেষ হতেই স্কুল খোলা হবে। ১৬ নভেম্বর থেকে খুলবে স্কুলের দরজা। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যাবে। এরপর ধাপে ধাপে বাকিদেরও ক্লাস চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই রাজ্যের শিক্ষা দফতর জেলাগুলিতে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কী ভাবে স্কুল খুলতে হবে।

মাঝে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই সময় রাজ্যের তরফে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়। এবারও একই গাইডলাইন প্রকাশ করা হল। মূলত এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে। সেই মর্মে বিদ্যালয়গুলিকে নোটিস জারি করতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একটি শয্যাযুক্ত আইসোলেশন রুম রাখতে হবে। আচমকা যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে যেন সেখানে স্থানান্তরিত করা যায়।

পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও উল্লেখ রয়েছে এই স্কুল রিওপেন বুকলেটে। যাতে কারও জ্বর এলে বা অসুস্থ হলে প্রাথমিক ভাবে তা সামাল দিতে পারেন স্কুলে স্যার, দিদিমণিরা। আরও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে এই গাইডলাইন বুকে। বার বার শিক্ষাবিদ বা চিকিৎসকরা যেটা বলছিলেন, সম্ভব হলে দুই শিফটে ক্লাস হোক। এখানেও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি ও পরিকাঠামোর দিকে নজর রেখে প্রয়োজনে স্কুল দুই শিফট অর্থাৎ মর্নিং ও ডে’তে ক্লাস করাতে পারে।

করোনার বিষয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সতর্ক করার দায়িত্বও স্কুলকেই দিয়েছে রাজ্য। করোনা সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ‘ডু অ্যান্ড ডোন্টস’-এরও একটি তালিকা রয়েছে বিকাশ ভবনের স্কুল রিওপেন বুকলেটে। সেখানে বলা হয়েছে, জ্বর হলে কোনও অভিভাবক যেন পড়ুয়াকে স্কুলে না পাঠান। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ক্লাস চলাকালীন একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর পর ক্লাসরুম, ল্যাব বা অন্যান্য ঘরগুলি স্যানিটাইজ করতে হবে।

আরও পড়ুন : School and College Reopening in West Bengal: ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুলের তালা, বড় ঘোষণা মমতার