AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PK-TMC Equation : ‘থ্যাঙ্ক ইউ’-র পরও কি ‘ওয়েলকাম’? একই মঞ্চে পিকে-মমতা সমীকরণে নয়া জল্পনা

PK-TMC Equation : তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে প্রশান্ত কিশোর। পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দৃশ্য নিঃসন্দেহে বঙ্গ রাজনীতিতে ইঙ্গিতবহ।

PK-TMC Equation : 'থ্যাঙ্ক ইউ'-র পরও কি 'ওয়েলকাম'? একই মঞ্চে পিকে-মমতা সমীকরণে নয়া জল্পনা
ছবি : নিজস্ব
| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2022 | 6:17 PM
Share

কলকাতা : তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে প্রশান্ত কিশোর। পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দৃশ্য নিঃসন্দেহে বঙ্গ রাজনীতিতে ইঙ্গিতবহ। সম্প্রতিকালে আইপ্যাক এবং তৃণমূলের মধ্যে ফাটল প্রকাশ্যে এসেছিল। পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তা আরও জোরাল হয়। জানা যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে মেসেজে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ লিখে তাঁদের সম্পর্কের যবনিকা ঘটান স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। পাশাপাশি, দলের রাশ প্রবীণদের হাতে দিয়ে বুঝিয়ে দেন, আইপ্যাক বা পিকের কোনও পরমার্শকেই আর আমল দিতে চান না তিনি। পিকের সঙ্গে মমতার এ হেন দূরত্ব তৈরি হওয়ার মাঝেই মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চের এই দৃশ্যে স্বভাবতই তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা।

প্রশ্ন উঠছে পিকে ও মমতার মধ্যে তাহলে কি ‘দূরত্ব’ মিটল? এদিন নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের রাজ্য় স্তরের সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। সেখানে তৃণমূলের শীষ নেতৃত্বের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায় প্রশান্ত কিশোরকে। মমতার বক্তৃতার শেষে পিকের সঙ্গে ক্ষণিক বাক্য বিনিময় করেন। এরপর মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যান প্রশান্ত কিশোর। ক্যামেরার সামনে এই টুকুই ছিল তাঁর উপস্থিতি। কিন্তু এই উপস্থিতি নতুন রসায়নের জল্পনা উস্কে দিচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, গত মাসে অনুষ্ঠিত তৃণমূলের সর্বভারতীয় কমিটির বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতি দেখা যায়নি। সে সময়ও জাতীয় স্তরে ঢেলে সংগঠন সাজান তৃণমূল সুপ্রিমো।

পিকে’র সংস্থা তৃণমূলের হয়ে কাজ করলেও দলের রাশ যে মমতার হাতেই রয়েছে তা আরও একবার প্রকট হল। তবে মঞ্চে পিকে’র উপস্থিতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, “যা হওয়ার তা আপনারা সবাই দেখেছেন।” পিকে এবং তৃণমূলকে নিয়ে জল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “কী জল্পনা হয়েছে তার দায় আমাদের দলের নয়।” তবে এই মঞ্চ থেকে বক্তৃতা রাখার সময় একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রাখলেও প্রশান্ত কিশোর এবং আইপ্যাক নিয়ে কিছু মন্তব্য করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো।

উল্লেখ্য, এদিন দলের ভরকেন্দ্র বাংলার রাজ্য কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও পুরনো সৈনিকদের ওপরই ভরসা রাখলেন মমতা। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল দলের অন্দরে সে দিন থেকেই অভিষেকের ছায়া বিস্তৃত হতে শুরু করে। বহু প্রবীণ নেতাদের থেকেও দলে একটু একটু করে গুরুত্ব বাড়ছিল অভিষেক ঘনিষ্ঠদের। সম্প্রতি জাতীয় স্তরে কমিটি গঠনের সময় অভিষেক ঘনিষ্ঠদের ডানা ছেঁটে দলের রাশ নিজের হাতেই রাখেন। এদিন রাজ্য কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও সেই পুরনো পরীক্ষিত নেতাদের ওপরই আস্থা এবং ভরসা রাখলেন তিনি। তবে ডেরেক ও ব্রায়েন, সৌগত রায়ের মতো অভিষেকের আস্থা ভাজনদেরও কমিটিতে রাখেন মমতা।

আরও পড়ুন : Dilip Ghosh: ‘লকেটের সঙ্গে কথা বলার পরও চলে গেল…’