Dilip Ghosh: ‘লকেটের সঙ্গে কথা বলার পরও চলে গেল…’
Hooghly: দিলীপ আরও বলেন, "'এর আগে অনেকেই গিয়েছেন তৃণমূল, উনিও গেছেন। নিজে যেটা ঠিক মনে করেছেন সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আমার বিশেষ কিছু বলার নেই।'"
হুগলি: বেশ কয়েকমাস ধরেই বিক্ষুব্ধ ছিলেন দলের উপর। একাধিকবার তীর্যক মন্তব্য করেন। সেই সমস্থ জল্পনার অবসান ঘটল মঙ্গলবার। শেষমেশ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের হাত ধরলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। কংগ্রেসের পর বিজেপি আর তারপর তৃণমূলে। দলে যোগ দিয়েই পদপ্রাপ্তি হল তাঁর। হলেন তৃণমূল রাজ্য সহ সভাপতি। জয়প্রকাশের দলবদলের পরই তাকে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর তারপর, সাংবাদিকদের সামনে রাজ্য বিজেপি তাবড়-তাবড় নেতারা মন্তব্য করেন। বাদ যাননি বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
জয়প্রকাশের দলত্যাগ নিয়ে কী বললেন দিলীপ?
‘এর আগে অনেকেই গিয়েছেন তৃণমূল, উনিও গেছেন। নিজে যেটা ঠিক মনে করেছেন সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আমার বিশেষ কিছু বলার নেই।’ সোমবারই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদারে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু ও রিতেশ তিওয়ারিও। এরপর আজ হঠাৎ দলবদল। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “লকেটের চ্যাটার্জীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানিনা। ওঁর সঙ্গে কথা বলার পরেই চলে গেলেন। ওখানে নিশ্চই কোনও সুবিধা পাবেন। তাই গিয়েছেন।”
বস্তুত, গণ্ডগোলের শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ। সায়ন্তন বসুকে বিজেপি সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দেওয়ার পর থেকেই ক্ষেপে উঠেছিলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। কখনও টুইট, কখনও স্পষ্ঠভাষায় তিনি একাধিকবার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন দলের সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নন। দলের নীতির বিরুদ্ধে টুইট করে, কখনও রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাতের ইস্যুতে রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করে, কখনও আবার দলেরই বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে চড়ুইভাতিতে অংশ নিয়ে।
কয়েকমাস আগেই টিভি৯ বাংলাকে জয়প্রকাশ সাফ জানান, “দলের নীতি কিছুক্ষেত্রে ঠিক মনে হচ্ছে না। দলের নীতির বিরুদ্ধে মানেই দল ছাড়া নয়।” কিন্তু তারপরই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন প্রাক্তন বিজেপি এই নেতা।
আরও পড়ুন: BJP MLA: ‘কে করেছে জানতে চাই’, হুমকি পোস্টারকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে পুলিশকে সাফ প্রশ্ন পদ্ম বিধায়কের!