BJP MLA: ‘কে করেছে জানতে চাই’, হুমকি পোস্টারকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে পুলিশকে সাফ প্রশ্ন পদ্ম বিধায়কের!

Bankura: 'দোকান খুললেই মারব', শাটারে লাগানো এই হুমকি পোস্টারকে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে উড়িয়ে দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা।

BJP MLA: 'কে করেছে জানতে চাই', হুমকি পোস্টারকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে পুলিশকে সাফ প্রশ্ন পদ্ম বিধায়কের!
নিলাদ্রী শেখর দানা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2022 | 4:23 PM

বাঁকুড়া: ‘দোকান খুললেই মারব’, শাটারে লাগানো এই হুমকি পোস্টারকে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে উড়িয়ে দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। কিন্তু এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তিনি। দোষীদের শনাক্তকরণের দাবি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। যদিও পদ্ম বিধায়কের অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে তৃণমূল বিরোধীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করে।

সদ্যসমাপ্ত পুরসভা ভোটে রাজ্যজুড়ে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে বাঁকুড়া জেলাতেও। বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতেই ঘাসফুল ফুটেছে। অবশিষ্ট ৩ আসনে জয় পেয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। বিধায়কের নিজের এলাকাতেই পদ্ম শিবির খাতা খুলতে না পারায় কটাক্ষ উড়ে এসেছিল তৃণমূলের তরফে। এরপর ৪ মার্চ বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার রেডিমেড কাপড়ের দোকানের শাটারে কেউবা কারা এসে একটি পোস্টার লাগিয়ে দিয়ে যায়।

সাদা কাগজের সেই পোস্টারে লেখা ছিল ‘দোকান খুললেই মারব’। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে জেলার রাজনীতিতে। প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছিলেন খোদ বিধায়ক নিজেও। তিনি বলেছিন, “হাতি বাজার গেলে হাজার কুকুর ঘেউ-ঘেউ করে। এই ভাবে একটি হুমকি পোস্টার দিয়ে নিলাদ্রী শেখর দানাকে চুপ করিয়ে রাখা যাবে না। কারো ক্ষমতা থাকলে সামনা সামনি লড়াই করুক।”

কিন্তু সেই সময় তিনি বিধানসভার কাজে কলকাতায় ছিলেন। সোমবার রাতে বাঁকুড়া ফেরেন তিনি। এরপর এদিন সকালেই সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। সশরীরে হাজির হন বাঁকুড়া সদর থানায়। দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করার পর নীলাদ্রিবাবু বলেন, “কে এই ঘটনার পিছনে জড়িত তা জানতেই আমি অভিযোগ দায়ের করেছি। কারণ আজ আমার মত জনপ্রতিনিধির সঙ্গে যদি এই ঘটনা ঘটে তাহলে কাল সাধারণ মানুষের সঙ্গেও তা ঘটতে পারে। আমি চাই পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করে জড়িত দুষ্কৃতীদের খুঁজে বার করুক।”

প্রসঙ্গত, অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুঁড়লেও সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে এদিন মুখ খোলেননি তিনি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তথ্য খাড়া করেছে শাসকদল। তৃণমূলের বক্তব্য, এক সময় যেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন নীলাদ্রিবাবু, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন ও সেখানেই চতুর্থ পদ্ম শিবির। তাই দলের মধ্যেই একাধিক বিভেদ তৈরি হয়েছে। মানুষ তাঁকে চাইছেন না। তাই এর পিছনে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই দায়ী।

আরও পড়ুন: Mandirtala Crime: খুবলে বেরিয়েছে এসেছে মাংস, সঙ্গে দুর্গন্ধ… মা ও একরত্তির মৃত্যুর পিছনে উঠে আসছে শিউরে ওঠা কাহিনী