
কলকাতা: বিজেপির রাজ্য সভাপতির ব্যাটন সুকান্ত মজুমদারের কাছ থেকে শমীক ভট্টাচার্যের কাছে যাওয়ার পর প্রথমবার রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ১৮ জুলাই দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠে সভা করবেন তিনি। সেই সভার প্রস্তুতি জন্য সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস পালন হবে ধর্মতলায়। তার তিন দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সভা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
আর কয়েকমাস পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ছাব্বিশের নির্বাচনে কার নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি ভোটযুদ্ধে নামবে, বেশ কিছুদিন ধরেই তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটেছে। সুকান্তের জায়গায় রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন শমীক। আর দায়িত্ব পেয়েই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলের পুরনো ও নতুন নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কোনও জায়গা নেই।
বঙ্গ বিজেপির ব্যাটন হাতে নিয়েই শমীক বলছেন, ছাব্বিশের নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাবে। একুশের নির্বাচনে সম্ভব না হলেও এবার রাজ্যে পালাবদল হবে বলে দাবি বঙ্গ বিজেপির। আবার ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে একুশের জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ নিয়ে জোরকদমে মাঠে নেমেছে তৃণমূল। একুশের জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ছাব্বিশের নির্বাচনের সুর বেঁধে দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাও তৃণমূলের শহিদ দিবসের তিন দিন আগে। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, তৃণমূল নির্বাচনের সুর বেঁধে দেওয়ার আগেই কি ভোটের দামামা বাজিয়ে যাবেন মোদী?
এর আগে গত ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে সভা করে গিয়েছেন মোদী। সেখানেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। রাজ্যে হিংসা ও কর্মহীনতা নিয়েও শাসকদলকে আক্রমণ করেছিলেন। রাজ্য় সরকারকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কেন্দ্রের অনেক বড় বড় প্রকল্প এ রাজ্যে কার্যকর করা হয় না।”
মোদীর সেই সফরের পর একমাস কেটেছে। উত্তরবঙ্গের পর এবার দক্ষিণবঙ্গে সভা করবেন মোদী। ছাব্বিশের ভোটযুদ্ধের আগে এই সভা থেকে তিনি কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে সবাই।