AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fake birth certificate: ৩৫০০ টাকা বেতন, পঞ্চায়েতের চুক্তিভিত্তিক কর্মীর অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত সাড়ে ৩ কোটি

Fake birth certificate: পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২ ও ২০২৩ সাল থেকেই হিসাব বহির্ভূত টাকার পরিমাণ বাড়তে শুরু করে গৌতম সর্দারের। আবার ২০২৪ সালে গৌতমের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার অঙ্ক অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়।

Fake birth certificate: ৩৫০০ টাকা বেতন, পঞ্চায়েতের চুক্তিভিত্তিক কর্মীর অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত সাড়ে ৩ কোটি
ধৃত গৌতম সর্দারImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2025 | 6:09 PM
Share

কলকাতা: পঞ্চায়েতের চুক্তিভিত্তিক কর্মী। খাতায় কলমে বরাদ্দ বেতন প্রতি মাসে সাড়ে তিন হাজার টাকা। অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত সাড়ে তিন কোটি টাকা। গোসাবার পাঠানখালি পঞ্চায়েতের চুক্তিভিত্তিক কর্মী গৌতম সর্দারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকার পরিমাণ দেখে তাজ্জব হয়ে গেলেন তদন্তকারীরা। ধৃত এই চুক্তিভিত্তিক কর্মী কোথা থেকে এত টাকা পেলেন? এই প্রশ্নেরই এখন উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র মামলার তদন্তে নেমে পাঠানখালি পঞ্চায়েতের চুক্তিভিত্তিক কর্মী গৌতম সর্দারকে হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (SCO)। পুলিশের নজরে এখন বাসন্তীর একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অভিযুক্তর সেভিংস অ্যাকাউন্টের লেনদেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২২ ও ২০২৩ সাল থেকেই হিসাব বহির্ভূত টাকার পরিমাণ বাড়তে শুরু করে গৌতমের। আবার ২০২৪ সালে গৌতমের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার অঙ্ক অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ওই অ‍্যাকাউন্টে সাড়ে তিন কোটি টাকা রয়েছে বলে তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে পুলিশের।

ইতিমধ‍্যে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করে গৌতমের আর্থিক লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছে সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। জিজ্ঞাসাবাদে টাকার উৎস নিয়ে যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি গৌতম। তদন্তকারী অফিসার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন এজেন্ট, সাব এজেন্টের অ‍্যাকাউন্ট থেকে কখনও অনলাইনে, আবার কখনও অ‍্যাকাউন্ট টু অ্যাকাউন্ট টাকা জমা পড়েছে। নগদেও বেশ কয়েক দফায় মোটা অঙ্কের টাকা জমা করেছেন গৌতম নিজেই।

পঞ্চায়েতের চুক্তিভিত্তিক কর্মী গৌতম টাকার বিনিময়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র ইস্যু করেছেন বলে এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এর জন্য গৌতমের সহযোগী হিসেবে ছিলেন এজেন্ট, সাব এজেন্ট। গৌতমের অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখেই এজেন্ট, সাব এজেন্টদের হদিশ পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র ইস্যুতে আরও কোনও রাঘব, বোয়াল জড়িত রয়েছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই তদন্তের জল কতদূর গড়ায়, সেটাই এখন দেখার।