JU Student Death: যাদবপুরের হস্টেলে কী কী হত জুনিয়রদের সঙ্গে, একটা মৃত্যু ফাঁস করে দিল সবকিছু
Jadavpur University: পুলিশ সূত্রে খবর, হস্টেলে সিনিয়রদের উপস্থিতি ও অনুমতি ছাড়া নতুন আসা প্রথম বর্ষের জুনিয়ররা ফোনে পরিবারের সঙ্গে কিংবা অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে পারতেন না।
কলকাতা: একটা মৃত্যু। আর তারপর থেকেই বেআব্রু হতে শুরু করেছে যাদবপুরের ‘ঘুঘুর বাসা’। পেঁয়াজের খোসার মতো বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফাঁস হচ্ছে হস্টেলের ভিতরে সিনিয়রদের দাদাগিরির কথা। হস্টেলে কখন জুনিয়ররা পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারবে, কখন পারবে না… তারও নিয়ন্ত্রণ ছিল দাদাদের হাতে। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিশ সূত্রে খবর, হস্টেলে সিনিয়রদের উপস্থিতি ও অনুমতি ছাড়া নতুন আসা প্রথম বর্ষের জুনিয়ররা ফোনে পরিবারের সঙ্গে কিংবা অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে পারতেন না।
শুধু তাই নয়, হস্টেলে নতুন আসা জুনিয়রদের শৃঙ্খলার পাঠ দেওয়ার নামে কী কী চলত, সেই সব ফাঁস হয়েছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে। হস্টেলের জুনিয়রদের দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করানো হত। দাদাদের ‘শৃঙ্খলার পাঠ’ ছিল সেখানেও। একেবারে রোস্টার সাজিয়ে রাখা হত, হস্টেলের কোন জুনিয়র কবে টয়লেট পরিষ্কার করবে। এখানেই শেষ নয়, শৃঙ্খলা শেখানোর নামে অত্যাচারের নমুনা রয়েছে আরও। যেমন, সিনিয়র দাদাদের ঘর গুছিয়ে দেওয়া, ঘর পরিষ্কার করে দেওয়া… এসবই করতে হত হস্টেলের জুনিয়র আবাসিকদের। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় এমনই সব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এইসবই মুখ বুজে সহ্য করতে হত প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের। প্রথম বর্ষের মৃত পড়ুয়াকেও কি এই সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল? সেই প্রশ্নও উঠে আসতে শুরু করেছে।
যাদবপুরের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। কীভাবে মৃত্যু হল পড়ুয়ার, তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল পড়ুয়াকে। এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারির তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরাও। পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে র্যাগিং-এর তত্ত্বও। হস্টেলের তিন তলার খোলা ব্যালকনির রেলিং-দিয়ে পড়ুয়াকে হাঁটানো হয়েছিল বলেও একটি তত্ত্ব উঠে আসছে।