Manoranjan Byapari: পুলিশি বাধায় ৩০ মিনিটেই থামল প্যাডেল, ‘সাধের’ রিক্সা চালিয়ে বিধানসভায় যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই রইল TMC বিধায়কের
Manoranjan Byapari: তবে বলাগড় থেকে নয়। বিধানসভার উদ্দেশে রিক্সা চালিয়ে তিনি বেরোন পার্কস্ট্রিট থেকে। সেই জন্য পার্ক স্ট্রিট থানার ওসির কাছ থেকে আগেভাগে আবেদন করিয়েও রেখেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।

কলকাতা: বলাগড়ের স্থানীয় মানুষরা বলেন, তিনি নাকি এককালে রিক্সা চালিয়ে রোজগার করতেন। এদিন সেই রিক্সা নিয়েই বিধানসভার দিকে রওনা দিয়েছিলেন তৃণমূলের বলাগড় বিধানসভার বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। রিক্সার পিছনেই লাগানো ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি একটি বিরাট আকারের পোস্টার।
তবে বলাগড় থেকে নয়। বিধানসভার উদ্দেশে রিক্সা চালিয়ে তিনি বেরোন পার্কস্ট্রিট থেকে। সেই জন্য পার্ক স্ট্রিট থানার ওসির কাছ থেকে আগেভাগে আবেদন করিয়েও রেখেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, এর আগেও বহুবার বিধানসভায় রিক্সা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু সময়ের চাপে তা হয়ে ওঠেনি। অবশেষে, সেই বহু বছরের সাধ পূরণ করতে চলেছেন বলে দাবি করেন বিধায়ক।
তাঁর কথায়, ‘এক রিকশাচালক সম্মানীয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হয়ে বিধানসভায় তো এসেছে। কিন্তু সরাসরি রিক্সা বিধানসভায় আসেনি। আসতে পারেনি । কারণ কলকাতা শহরে প্যাডেল রিক্সা চলে না। আজ ১৮ই ফেব্রুয়ারি খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে সত্যি সত্যি রিক্সা চালিয়ে বিধানসভায় যাচ্ছি।’
তবে এত দাবির পরেও বিধায়কের এই সাধ কিন্তু অধরাই রয়ে গেল। বিধায়ক আবাসন থেকে রিক্সার প্যাডেলে চাপ দিলেন। ৩০ মিনিট এগিয়ে জহরলাল নেহরু রোডের মুখ থেকেই আবার ফিরে এলেন। কিন্তু কেন প্রত্যাবর্তন করতে হল তৃণমূল বিধায়ককে? জানা গিয়েছে, তাঁর কাছে থাকা অনুমোদন যথেষ্ট নয়। কলকাতার রাস্তায় রিক্সা চালাতে গেলে আরও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে তিনি কিন্তু আশা ছাড়েননি। আবার চেষ্টা করবেন বলেই সাফ বার্তা দিয়েছেন তিনি।





