AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Presidency Jail: নকশাল আন্দোলনের সময় বন্ধ হয়েছিল জলের ধারা, প্রেসিডেন্সি জেলের সেই পুকুরই হয়ে গেল স্টেডিয়াম

Presidency Jail: ওল্ড আলিপুর জেল যা বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেল। একদা এই জেল শব্দও ব্যবহার করত না ব্রিটিশরা। পরিবর্তে গাউল (gaol) বলা হত কারাগারকে। সেই সময় থেকেই থ্যাকারে রোডের প্রেসিডেন্সি জেলে এই পুকুরটি ছিল।

Presidency Jail: নকশাল আন্দোলনের সময় বন্ধ হয়েছিল জলের ধারা, প্রেসিডেন্সি জেলের সেই পুকুরই হয়ে গেল স্টেডিয়াম
ভোলবদল পুকুরের
| Edited By: | Updated on: May 23, 2023 | 9:01 PM
Share

কলকাতা: জলের অভাবে পুকুরটা শুকিয়েছে বছর পঞ্চাশেক আগে। কারণ, বন্ধ হয়েছিল জলের ধারা। সেই পুকুরই এখন স্টেডিয়াম। তার উদ্বোধনেই রাজ্যের জেল ইতিহাসে সূচনা হয়ে গেল নতুন অধ্যায়ের। প্রেসিডেন্সি জেল (Presidency Jail) প্রাঙ্গণে বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত এবং বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামে স্টেডিয়ামের (Stadium) উদ্বোধন হল সোমবার। সেখানে বল পায়ে মাতলেন বন্দি আর কারারক্ষীরা। 

ওল্ড আলিপুর জেল যা বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেল। একদা এই জেল শব্দও ব্যবহার করত না ব্রিটিশরা। পরিবর্তে গাউল (gaol) বলা হত কারাগারকে। সেই সময় থেকেই থ্যাকারে রোডের প্রেসিডেন্সি জেলে এই পুকুরটি ছিল। তবে পুকুরে নিজস্ব জলের সংস্থান ছিল না। উল্টে পাশের আদিগঙ্গার দিকে হাঁ করে চেয়ে থাকতে হত। পুকুরের বাইরের দিকে অংশে বেশ কয়েকটি ছিদ্র ছিল। সেইগুলি দিয়ে আদিগঙ্গার জল ঢুকে ভরে উঠতো পুকুর। কিন্তু সাতের দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ওই ছিদ্রগুলিকে পালিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহার করতে শুরু করে বলে মনে করা হয়। তারপরেই ১৯৭২ সাল নাগাদ ওই ছিদ্রগুলিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জলের অভাবে ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় পুকুরটি। তারপরে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে পুকুরটির চারপাশে গাছ লাগানো হয়। ক্রমেই মাঠ হিসাবে ব্যবহার হতে লাগে। এবার সেখানেই আত্মপ্রকাশ করল কানাই-সত্যেন ক্রীড়াঙ্গন।

আনুষ্ঠানিকভাবে হল উদ্বোধন। সন্ধ্যায় বন্দিরা নিজেদের জেল প্রাঙ্গণে খেলছেন, এমন নজির রাজ্য তো বটেই, দেশের ইতিহাসে নেই বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল। স্টেডিয়ামের উদ্বোধক তথা কারা দফতরের এডিজি ও আইজি সঞ্জয় সিংয়ের বক্তব্য, “সংশোধনগারের আবাসিকরা যত বেশি সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, ততই তাঁদের মন ভাল থাকবে। তার সুযোগ করতেই এই ভাবনা।” শুধু মাত্র ফ্লাডলাইটের স্টেডিয়াম নয়। সঙ্গে রাজ্যের জেল ইতিহাসে প্রথম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে সোমবার। প্রেসিডেন্সি জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী বলছেন, “আবাসিকদের মধ্যে প্রতিভাবান অনেকেই রয়েছেন। সেই প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে এই স্টেডিয়াম।”