AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Abhijit Murder Case: বাড়িতে গিয়ে ১২ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিল সিবিআই

Post Poll Violence Case: প্রত্যেক অভিযুক্তদের বাড়ি গিয়ে পরিবারের হাতে গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজ তুলে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের লোকেদের থেকে অভিযুক্তদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়েছে।

Abhijit Murder Case: বাড়িতে গিয়ে ১২ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিল সিবিআই
কাঁকুরগাছিতে অভিজিত্ সরকার খুনে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2021 | 12:09 PM
Share

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence Case) কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে অভিযুক্তদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি-সহ কাঁকুরগাছিতে গেল সিবিআই প্রতিনিধি দল।

প্রত্যেক অভিযুক্তদের বাড়ি গিয়ে পরিবারের হাতে গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজ তুলে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের লোকেদের থেকে অভিযুক্তদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ১২ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

ভোট পরবর্তী হিংসায় কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় গত শনিবার সিবিআই-এর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন নারকেলডাঙা থানার সাব ইন্সপেক্টর রত্না সরকার। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তলব করা হয় তাঁকে। গত ৩০ অগস্ট রত্নাকে প্রথমবার তলব করা হয়। কিন্তু সেই তলবে তিনি সাড়া দেননি। অবশেষে এ দিন দ্বিতীয় ডাকে সাড়া দিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, শনিবার রত্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তাঁর বয়ানও রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

অভিজিতের মা অভিযোগ করেন, রত্নাই আসল অভিযুক্তদের বদলে অন্যদের নাম একটি সাদা কাগজে লিখে সেখানে জোর করে তাঁকে দিয়ে সই করান।

সূত্রের খবর, সেই বিষয়গুলি নিয়েই সিবিআই-এর গোয়েন্দারা এ দিন রত্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কেন অভিজিতের পরিবারকে জোর করে সাদা কাগজে সই করানো হল, কেনই বা আসল অভিযুক্তদের নাম লোকানোর চেষ্টা করল পুলিশ? এমনই সব প্রশ্নের সাঁড়াশি চাপের মুখে পড়তে হয়েছে এসআই রত্না সরকারকে।

অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ অবশ্য এই মামলায় আগাগোড়াই নারকেলডাঙা থানার বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং তদন্তের গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। অভিযুক্ত এসআই রত্না সরকারকে গ্রেফতার করারও দাবি তুলেছিলেন বিশ্বজিৎ। এমনকি, নারকেলডাঙা থানার ওসি-কেও গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন নিহত অভিজিতের দাদা। অন্যদিকে, সিবিআই ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় অভিজিতের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করেছে। অভিজিতের দেহও সম্প্রতি তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দেহের সৎকারও করা হয়েছে।

তদন্তের স্বার্থেই এতদিন অভিজিৎ সরকারের দেহ সৎকার করতে দেওয়া হয়নি। পচে-গলে সেই দেহ আর চেনার কোনও উপায়ও ছিল না। দেহ পাওয়ার পর অভিজিৎ সরকারের পরিবারের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, ওই দেহ আদৌ অভিজিতের কি না। তাঁদের অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় দেহ সরিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। এরপরই ডিএনএ পরীক্ষা হয় ওই দেহের। কিন্তু যেহেতু ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়, তাই সেই ডিএনএ রিপোর্ট ছিল সিবিআই-এর হাতে।

তবে বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে বলে, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অভিজিতের পরিবার। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বও।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh On Babul Supriya: বাবুলকে ‘পলিটিক্যাল টুরিস্ট’ বলে কটাক্ষ দিলীপের!

আরও পড়ুন: Kolkata Suicide: হেলমেট-বাইক অক্ষত, কিন্তু মুখ-চোয়ালের হাড় ভেঙে বেরিয়ে এসেছে… মা উড়ালপুলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড