
কলকাতা: তিনি যে পথে হাঁটলেন, সেই পথেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তিনি যেখানে গাড়িতে উঠছেন তার পিছনেও দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীরই ব্যানার। এক কথায়, কালীঘাটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আর সেই কালীঘাটই ‘ঢাকা’ মমতার ব্যানারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জায়গা পেলেন, তবে সামান্য। বিজেপির অভিযোগ, আসলে শাহের পোস্টার উধাও করে দিয়েছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতায় পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পুজো-পরিক্রমা। প্রথমে সজলের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধন। তারপর সেখান থেকে কালীঘাটে গিয়ে পুজো দিয়েছেন শাহ। সব শেষে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে ইজেডসিসি-র দিকে। সেখানে গিয়ে ‘বিজেপির দুর্গাপুজো’ উদ্বোধন করবেন তিনি। কিন্তু তার আগেই কালীঘাটে বাঁধল বিতর্ক।
শাহের আগমন থেকে গমন গোটাটাই হয়ে উঠল তীব্র রাজনৈতিক। পুজো আবহে সরগরম বাংলার আবহ। এদিন বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ তুষার কান্তি ঘোষের অভিযোগ, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কথা মাথায় রেখে, তাঁকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল রাত দেড়টা পর্যন্ত আমাদের কার্যকর্তারা ব্য়ানার-পোস্টার লাগিয়েছিলেন। তিনি কালীঘাট মন্দিরে আসছেন, সেই জন্য স্বাগতম ব্যানার লাগিয়ে ছিলাম আমরা। কিন্তু ভোরবেলা এসে দেখি, একটাও ব্যানার নেই। সব উধাও। তার চেয়েও আশ্চর্যের বিষয় যে যে জায়গায় ওই ব্যানারগুলো লাগানো হয়েছিল, সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ব্য়ানার লাগানো।’
তাঁর সংযোজন, ‘তৃণমূলের নোংরা রাজনীতি করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্দিরে পুজো দিতে আসছেন, কিন্তু এরা সেখানেও রাজনীতি করছে। আর পুলিশ তো তৃণমূলের ক্য়াডারের মতোই কাজ করে। আমরা জানি, যারা দোষী তাদের কোনও শাস্তিই হবে না।’ উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্য়ে কালীঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিজেপি নেতা।
অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল শিবির। ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্য়ায়ের দাবি, ‘আমি উন্মাদ, মাতাল নাকি পাগল? উনি তো আমাদেরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওনাকে স্বাগত জানান আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিজেপির এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর সর্বোপরি আমার ভাল লাগছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়ন অমিত শাহ দেখে গেলেন। আমরা কিন্তু কারওর বাড়ি ভাঙিনি। কাউকে উচ্ছেদ করিনি। রামমন্দির কিন্তু এই ভাবে হয়নি।’